My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


করোনা নেগেটিভ হওয়ার অপেক্ষায় তামিম-মুশফিকরা

টানা ৫ দিন ধরে হোটেলবন্দী আছেন ক্রিকেটাররা। যদিও গত তিনদিন ধরে আধাঘন্টার জন্য মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। তাতেও বন্দীত্ব ঘুচছে না ক্রিকেটারদের। আপাতত তামিমরা অপেক্ষায় আছেন দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষায়র ফলাফল নেগেটিভ হওয়ার। মঙ্গলবার দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এলেই অন্তত জিম সেশনটা শুরু করতে পারবেন তারা। আপতত বন্দী জীবনা নেটফ্লিক্সে-অ্যামাজানেই কাটছে তামিমের।

সোমবার নিউজিল্যান্ডে থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তাম তামিম ইকবাল জানিয়েছেন তেমনটাই, 'কালকে (মঙ্গলবার) যদি আমাদের সবার কোভিড টেস্ট নেগেটিভ আসে, তাহলে আমরা পরশু দিন (বুধবার) থেকে জিম ব্যবহার করতে পারব। এখানে দুইটা জিম আছে নিচে যেখানে আমরা ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে গিয়ে ব্যবহার করবো।’যদিও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পূরণ হলেই কেবল স্বাধীনভাবে সবকিছু করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। তবে তার আগে অষ্টম দিনে আলাদা আলাদা গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলনের সুযোগ মিলবে ক্রিকেটারদের। এ প্রসঙ্গে ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছেন, ‘যদি সব ঠিকঠাক থাকেলে ৮ নম্বর দিন থেকে আমাদের ছোট ছোট গ্রুপে অনুশীলনের জন্য অ্যালাও করা হবে। যেখানে আমরা মাঠে গিয়ে অনুশীলন করতে পারব। আমি এর দিকেই তাকিয়ে আছি। অনেকদিন হয়ে গেল, এগুলো যখনই শুরু হয়ে যাবে তখনই আশা করি আমাদের ফোকাসটা পুরোপুরি ক্রিকেটে ফিরে আসবে।' 

অন্য সবার মতো এমন বন্দী জীবন তামিমেও ভালো লাগছে না, 'কেমন লাগছে এটা... (হাসি), ঠিক আছি। এটা তো এখন আসলে মেনে নিতে হবে। যেখানেই যাব সেখানেই এই নিয়ম-কানুন থাকবে। সেটি মেনে নিতেই হবে।’নতুন নতুন সিনেমার ভক্ত তামিম ইকবাল। নিউজিল্যান্ডের হোটেল রুমে নেটফ্লিক্সে, অ্যামজান প্রাইমে দেখেই সময় কাটছে বাংলাদেশের সেরা এই ওপেনারের, ‘২৪ ঘন্টার মধ্যে রুমের মধ্যে সাড়ে ২৩ ঘন্টাই থাকতে হয়। সৌভাহ্যবশত রুমের মধ্যে সাইকেল দিয়েছে, সাথে আমাদের কিছু ব্যান্ড ট্যান্ড দিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। আমরা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারি, সাইক্লিং এখানে আমরা করতে পারি। তাছাড়া আমার টাইম পাস হচ্ছে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম এসব দেখেই। এছাড়া ঘুম কিংবা খাওয়া দাওয়া ছাড়া অন্য কিছু করার নেই।’  

গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো খোলা বাসাতে নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তামিম বলেছেন, ‘প্রথমবারের মত যখন ফ্রেশ এয়ারে গিয়েছিলাম একটু আজবই লাগছিল। কারণ, দুই-তিনদিন আমরা রুমের মধ্যে ছিলাম। তারপরে হঠাৎ করে আমাদের অনুমতি দেওয়া হল। তখন সবার সাথে দেখা হয়ে ভাল লাগল। মনে হল অনেক বছর পরপর দেখছি একেকজনকে। যেহেতু নিচে ফ্রেশ এয়ারের জন্য একটা গ্রুপ সেট করা থাকে, পাচ-সাত জনের গ্রুপে আমরা যাই। তো এখনো অনেক টিমমেট আছে যাদের সাথে আমাদের দেখা হয়নি। তো যেটা বললাম, এটা ডিফারেন্ট, চ্যালেঞ্জিং, তবে সময় কেটে যাচ্ছে।’তামিম ব্যক্তিগত আইসোলেশন নিয়ে আরও জানালেন, ‘সেলফ আইসোলেশন কঠিন। তবে সত্যি কথা, আমাকে যদি ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞাসা করেন, আমি মনে করেছিলাম আরও কঠিন হবে। কিন্তু সময় পাস হয়ে যাচ্ছে। অলমোস্ট চার-পাচদিন আজকে হয়ে গেল। আর বেশি দিন নেই। আশা করি বাকি সময়গুলো দ্রুত কেটে যাবে।’