মোনাকোর মাঠে হার দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু হয়েছিল বার্সেলোনার। ওই হতাশা তারা কাটিয়ে উঠতে সময় নেয়নি। ইউরোপ সেরার মঞ্চে একের পর এক দাপুটে জয় আদায় করে নিচ্ছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। বুধবার রেড স্টার বেলগ্রেডের মাঠে ৫-২ গোলে জিতেছে কাতালান জায়ান্টরা।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এনিয়ে সবশেষ তিন ম্যাচে ১৪ গোল করেছে তারা। আর সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ছয় জয়ে ২৪ গোল! এর মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে দেওয়ার সাফল্যও আছে।
চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে বার্সা ৩৬ দলের চ্যাম্পিয়নস লিগ টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে উঠে গেলো। আর কোনও পয়েন্ট না পেয়ে ৩৫তম রেড স্টার।
গত রবিবার লা লিগায় ডার্বিতে এস্পানিওলকে ৩-১ গোলে হারানো বার্সা দুটি পরিবর্তন নিয়ে বেলগ্রেডে খেলতে নামে। গোড়ালির ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার পর প্রথমবার একাদশে জায়গা পান ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়াং।
গোলমুখ খুলতে স্প্যানিশ দলের মাত্র ১৩ মিনিট লেগেছে। রাফিনহার ফ্রি কিকে গোলপোস্টের সামনে দাঁড়ানো ডিফেন্ডার ইনিগো মার্তিনেজ হেড করে জালে বল ঠেলে দেন। ১৪ মিনিট পর কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বার্সা আক্রমণাত্মক অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে সিলাস কাতোম্পা-এমভুম্পা গোল করে সমতা ফেরান।
বার্সা হাল ছাড়েনি। আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলে যেতে থাকে। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করার পর ৪৩তম মিনিটে রাফিনহার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে জাল কাঁপান রবার্ট লেভানডোভস্কি। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে জুলেস কোন্দের ক্রসে পোলিশ স্ট্রাইকার প্রথম স্ট্রাইকে বার্সার লিড বাড়িয়ে নেন।
বার্সার চতুর্থ গোলও রাফিনহাকে বানিয়ে দেন কোন্দে। ফরাসি ফুলব্যাক ৭৬তম মিনিটে তৃতীয় অ্যাসিস্ট করেন। ফারমিন লোপেজকে সহজ গোল বানিয়ে দেন তিনি। বদলি নামা মিলসন স্বাগতিকদের হয়ে একটি গোল শোধ দিয়ে ব্যবধান তিনে নামান।
চার ম্যাচে ১৫ গোল করে এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে সেরা আক্রমণাত্মক দলে রূপ নিয়েছে বার্সা। এছাড়া রাফিনহা ও লেভানডোভস্কি পাঁচ গোল করে টুর্নামেন্টের শীর্ষ গোলদাতার দৌড়ে বায়ার্নের হ্যারি কেন ও স্পোর্তিংয়ের ভিক্তর গিওকেরেসের পাশে বসেছেন।