My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


কিং, কার্টির সেঞ্চুরিতে সিরিজ ক্যারিবিয়ানদের

সিরিজে সমতা থাকায় শেষ ওয়ানডেটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী। তৃতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার পেছনে বড় অবদান কেসি কার্টি ও ব্র্যান্ডন কিংয়ের। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন দুজনই।

ব্রিজটাউনে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ক্যারিবিয়ান বোলিং তোপ শুরুতেই কাঁপিয়ে দেয় তাদের। ২৪ রানে হারায় ৪ উইকেট। সেখান থেকে দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো স্কোরের ভিত গড়তে অবদান রাখেন ওপেনার ফিল সল্ট। ৭৪ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। তাছাড়া শেষের দিকের ব্যাটারদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংও ভূমিকা রাখে। দলের ৯৪ রানে স্যাম কারান ৪০ রান করে আউট হলে ফিল সল্ট দলকে ১৬৪ রান পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। তার পর দলকে এগিয়ে নেন ড্যান মুজলি। ৫৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ দিকে কার্যকরী ইনিংস উপহার দেন দুই পেসার জেমি ওভারটন ও পেসার জোফরা আর্চার। ওভারটন ২১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩২ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন। তবে আর্চার ছিলেন আরও বিধ্বংসী। ১৭ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাতেই ৮ উইকেটে ২৬৩ রানের সংগ্রহ পেয়েছে ইংল্যান্ড।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৩৫ রানে ৩টি উইকেটনেন ম্যাথু ফোর্ড। দুটি করে নিয়েছেন আলজারি জোসেফ ও রোমারিও শেফার্ড।

জবাবে শুরুতে ৪২ রানে শুধু এভিন লুইসের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার পর ইংলিশদের ওপর শাসন করে দলকে জয়ের পথে তুলেছেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও কেসি কার্টি। কিং যখন ফেরেন তখন জয়ের কাছেই ছিল তারা। স্কোর ছিল ৪০.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৫১। ফেরার আগে ১১৭ বলে ১০২ রান করেছেন। ম্যাচসেরাও ছিলেন কিং। তাতে ছিল ১৩টি চার ও ১টি ছয়। সঙ্গী কার্টি অবশ্য সেঞ্চুরির পর অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন। ১১৪ বলে ১২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাতে ছিল ১৫টি চার ও ২টি ছয়ের মার। শাই হোপ অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে। ২ উইকেট হারানো স্বাগতিক দলের জয় নিশ্চিত হয়েছে ৪৩তম ওভারে।

ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন রিস টপলি ও জেমি ওভারটন। ২৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা ম্যাথু ফোর্ড।