ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দল পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার পরেও সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পেরে ওঠেনি তারা। ক্যারিবিয়ানদের ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারী দল। যার পেছনে বড় অবদান ফিল সল্টের বিস্ফোরক সেঞ্চুরি ও ঘরের ছেলে বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া জ্যাকব বেথেলের হাফসেঞ্চুরির।
কেনসিংটন ওভালে ১৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ইংল্যান্ড শুরুতেই ক্যারিবিয়ানদের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছে। উইল জ্যাকসের সঙ্গে মিলে ৭৩ রান যোগ করেন সল্ট। জ্যাকস ১৭ রানে ফিরলে দ্রুত সময়ে বিদায় নেন অধিনায়ক জস বাটলারও (০)। সল্ট তার পরেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হতে দেননি। ২১ বছর বয়সী বেথেলকে সঙ্গে করে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তারা অবিচ্ছিন্ন ছিলেন ১০৭ রানে। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি পাওয়া সল্ট ৫৪ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাতে ছিল ৯টি চার ও ৬টি ছয়ের মার। এটি আবার সল্টের তৃতীয় সেঞ্চুরি। তিনটিই এসেছে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে! গত ডিসেম্বরের সিরিজেও ক্যারিবিয়ানে ব্যাক-টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। সঙ্গী বেথেল অবশ্য ৩৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ১৬.৫ ওভারেই জয় নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৮২ রান সংগ্রহ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লোয়ার অর্ডার জেগে উঠাতেই স্কোর সমৃদ্ধ হয়েছে। বিশেষ করে আন্দ্রে রাসেল, রোমারিও শেফার্ড ও গুডাকেশ মোটি মিলে ৯৮ রান যোগ করেছেন। রাসেল ১৭ বলে ৪ ছক্কায় উপহার দেন ৩০ রানের কার্যকর ইনিংস। শেফার্ড ২২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও দুটি ছয়ের মার। শেষ দিকে শেফার্ডকে দারুণ সঙ্গ দেন মোটি। এই টেইলএন্ডার ১৪ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস উপহার দিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে সেরা বোলার ছিলেন সাকিব মাহমুদ। ৩৪ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। আদিল রশিদ ৩২ রানে নিয়েছেন ৩টি।