ডাম্বুলায় নিউজিল্যান্ডকে ১৩৫ রানে আটকে দিয়েও ঘাম ছুটলো শ্রীলঙ্কার। চারিথ আসালাঙ্কার অধিনায়কোচিত ইনিংসে শনিবার ছয় বল হাতে রেখে চার উইকেটে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতলো তারা। ম্যাচসেরাও হয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক।
১৩৬ রানের লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় সারির সফরকারী দলের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে আসালাঙ্কা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে স্বাগতিকরা জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে। ১৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪০ রান করে স্বাগতিকরা।
কুশলের সঙ্গে পাথুম নিসাঙ্কা দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ ৪০ রানের জুটি গড়েন। তারপর নিউজিল্যান্ড ৮৭ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের ক্ষীণ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কিন্তু তাতে বাধ সাধে আসালাঙ্কা-হাসারাঙ্গার জুটি।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের তিন উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার দুনিথ ভেল্লালাগে মিড উইকেট দিয়ে জ্যাকব ডাফিকে ছক্কা মেরে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন। আসালাঙ্কা ২৮ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
নিউজিল্যান্ডের অল্প পুঁজির সুযোগ নিয়ে শ্রীলঙ্কা স্বস্তিতে থেকে ব্যাটিং শুরু করে। টপ অর্ডার ব্যাটার কুশল পেরেরা তার নাম রেকর্ড বইয়ে তোলেন। ১৭ বলে ২৩ রান করার পথে তিলকারত্নে দিলশানকে টপকে টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন, তার রান ১৯০৪।
আসালাঙ্কা ম্যাচ শেষে বললেন, ‘সব মিলিয়ে এটা একটি ভালো জয়। ১১০ কিংবা ১২০ রানে তাদেরকে আটকে ফেলা উচিত ছিল। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে তারা খুব ভালো করেছে।’
৯৬ রানে নিউজিল্যান্ডের আট উইকেট তুলে নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ইশ সোধি ও জ্যাকারি ফোকেস নবম উইকেটে নিউজিল্যান্ডের হয়ে রেকর্ড ৩৯ রানের জুটি গড়ে মান বাঁচান। আগের ৩৮ রানের রেকর্ডেও ভাগ ছিল সোধির, সঙ্গী ছিলেন মিচেল স্যান্টনার।
এই জুটি ভাঙেন হাসারাঙ্গা। বড় শট খেলতে গিয়ে মিড অনে কিউই অধিনায়ক স্যান্টনারের ক্যাচ হন ফোকেস।
ভারতে লাল বলের সিরিজে দাপট দেখিয়ে নিউজিল্যান্ড দ্বীপরাষ্ট্রে পা রাখে টম ব্লান্ডেল, রাচিন রবীন্দ্রের মতো তারকাদের ছাড়া। অলরাউন্ডার মিচেল ব্রেসওয়েল ২৪ বলে ২৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। মূলত সোধি ও ফোকেসের জুটিতেই একশ ছাড়ায় তারা। ১৬ বলে যৌথভাবে ২৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন ফোকেস। শেষ ওভারে ১০ রানে আউট হন সোধি।
নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেকের দিনে উইকেটকিপার ব্যাটার মিচেল হে নিজের দ্বিতীয় বলে মাথিশা পাথিরানার শিকার হন।
ডাম্বুলায় নিউজিল্যান্ড তৃতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়। স্যান্টনার বললেন, ‘কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া চ্যালেঞ্জ। মাঝপথে আমাদের মনে হয়েছিল আমরা এই রান প্রতিহত করতে পারবো। কিন্তু কয়েকটি জুটি আমাদের কাছ থেকে ম্যাচ নিয়ে নিলো।’
রবিবার একই ভেন্যুতে হবে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ।