গতবছরের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর করোনার কারণে আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলা হয়নি সাকিব-তামিমদের। যদিও অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সফর করার কথা ছিল। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন জটিলতায় তা স্থগিত হয়ে যায়। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে তাই আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আগামী ১০ জানুয়ারী ঢাকায় পা রাখবে উইন্ডিজ দল। জুয়াড়ীর দেয়া প্রস্তাব গোপন করায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দেয়া এক বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটিই হতে যাচ্ছে সাকিবের প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ। সেই সিরিজ খেলতে রবিবার (৩ জানুয়ারী) সকালে দেশে ফিরেছেন তিনি।
হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় উইন্ডিজ দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাকিব। কেননা এই করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ সফর করছে উইন্ডিজরা। এই সিরিজ খেলতে তাই বেশ মুখিয়ে আছেন বলেও চানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, 'এই ফিরে আসাটা একটু অন্যরকম। শ্রীলঙ্কা সিরিজে যেতে পারি নাই। যে কারণে বেশ হতাশ ছিলাম। বাংলাদেশ সফর করার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধন্যবাদ৷ এই সিরিজের জন্য আমি বেশ উত্তেজিত।
বিশ্বকাপের বাছাই এবং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হলেও বেশ খর্ব শক্তির দল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। করোনা ভীতির কারণে আসন্ন এই সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তদের দলের গুরুত্বপূর্ণ ১২ জন ক্রিকেটার। যার মধ্যে রয়েছেন দলটির অধিনায়ক জেসন হোল্ডারও।
এই সিরিজে ভালো করতে না পারলে তা বাংলাদেশের জন্য হতাশার কারণ হয়ে দাড়াতে বলে মনে করছেন সাকিব। তাই ভালো করার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার।
এ প্রসঙ্গে সাকিব আরো বলেন, 'যে দুইটা দল দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের সাথে যদি আমরা ভালো না করি তাহলে আমাদের জন্য হতাশার হবে। সে জায়গা থেকে আমি খুবই আশাবাদী যে আমাদের ভালো করা উচিত।'