My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হাতছাড়া করতে চান না সিমন্স

করোনার কারনে মূল স্কোয়াডের বেশিরভাগ ক্রিকেটারকে ছাড়াই বাংলাদেশ সফরে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে টানা ৫ ম্যাচ জিততে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। এবারতো তাদের দল খর্বশক্তির দলে পরিণত হয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশকে ফেভারিট মানছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর জুমের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন তিনি। সেখানেই বাংলাদেশকে ফেভারিট হিসেবে ঘোষণা করেন, ‘বাংলাদেশ স্পষ্ট ফেভারিট। কারণ তারা ঘরের মাঠে ভালো খেলে। আমরা এর সঙ্গে কখনো দ্বিমত করবো না।’বাংলাদেশকে ফেভারিট মানলেও নিজেদের লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছেন সিমন্স। তরুণ একটি দল নিয়ে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন ক্যারিবিয়ান এই কোচ, ‘যে কোনো সিরিজ খেলার আগে উদ্দেশটা থাকে সিরিজ জয়ের। প্রতিটি দল তাদের ঘরের মাঠে ভালো খেলে। সেদিক থেকে কাজটা সহজ হবে না। তবে প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে সিরিজ জয় করা। দ্বিতীয়ত, আমাদের ক্রিকেটারদের প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। আমরা যদি ভালো প্রস্তুতি নেই, তাহলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ভালো করার সুযোগ থাকবে।’

সিমন্স আরও যোগ করে বলেছেন, ‘আমরা ওয়ানডে সিরিজ জয়ের উদ্দেশ্যেই ক্যারিবিয়ান ছেড়েছি। আপনারা হয়ত বলছেন আমাদের পুরো দল নেই কিন্তু আমাদের এমন একটি দল আছে যারা এই কন্ডিশনে জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত।’করোনার অজুহাতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিকেটাররা। নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, ওয়ানডের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডের সঙ্গে আসছেন না ড্যারেন ব্রাভো, শামার ব্রুকস, রোস্টন চেজ, শেলডন কট্রেল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, নিকোলাস পুরান। এদের সঙ্গে ব্যক্তিগত কারণে সফরসঙ্গী হননি ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও শেন ডাওরিচ। এর ফলে বাংলাদেশ সফরের দলটি খর্বশক্তির দলে পরিণত হয়েছে। এমন দলকে কিভাবে অনুপ্রাণিত করা সম্ভব, জানালেন ক্যারিবিয় প্রধান কোচ, ‘এই ছেলেদের অনুপ্রাণিত করা কঠিন না। এখানে যারা আছে তাদের সবাই সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত। তাঁরা জায়গা দখল করতে চায়। আগেও বলেছি, এই বছর আমাদের অনেক খেলা আছে। সবাই সেদিক থেকে বেশ অনুপ্রাণিত।’

অভিজ্ঞতায় ফারাক কী পার্থক্য গড়ে দিতে পারে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিমন্স বলেছেন, ‘অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু কিছু কিছু সময় উৎসাহ এবং জয়ের ক্ষুধা অভিজ্ঞতাকে পরাস্ত করে। আমাদের কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে, যা দিয়ে আমরা সাফল্য পেতে আত্মবিশ্বাসী।’এশিয়ার বাইরের দেশগুলো স্পিনের বিপেক্ষ বেশ দূর্বল। যার ফলে উপমহাদেশে খেলতে আসা দলগুলোর ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। বিষয়টি জেনেও ক্যারিবিয়ানদের দলে খুব ভালো মানের কোন স্পিনার নেই। এ ব্যাপারে সিমন্স জানালেন, ‘আমার মনে হয় আমরা ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে এসেছি। তিন স্পিনার, তিন ফাস্ট বোলার আছে আমাদের। একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আছে। আমাদের দলে সব দিক থেকেই ভারসাম্য আছে।’ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ওয়ানডে সিরিজে স্পোর্টিং উইকেট আশা করছেন, ‘আমি এখানে ভিন্ন দল নিয়ে এর আগেও এসেছি। আমরা এখানে ভালো ওয়ানডে পিচ পেয়েছিলাম। আমরা এই সিরিজেও ভালো পিচ (স্পোটিং) আশা করছি।’