My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


১৩২ বছরের ইতিহাসে লিভারপুলের অনন্য রেকর্ড

নতুন কোচ আর্নে স্লটের অধীনে চলতি মৌসুমে লিভারপুলের দারুণ সূচনা অব্যাহত রয়েছে। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ছে অলরেডরা, আরবি লাইপজিগের বিরুদ্ধে সবশেষ জয় সবকিছুকে ছাপিয়ে গেলো।

বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে ১-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। ক্লাবের ১৩২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার এক মৌসুমের প্রথম ছয়টি অ্যাওয়ে ম্যাচই জিতলো স্লটের দল। প্রথম কোচ হিসেবে ইংলিশ শীর্ষ ক্লাবের ইতিহাসে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শুরুর ১২ ম্যাচের ১১টি ম্যাচ জিতলেন এই ডাচ। অথচ অনেকের ধারণা ছিল, গত ৯ বছরে দারুণ সব সাফল্য এনে দেওয়া ইয়ুর্গেন ক্লপের ছায়া হয়ে থাকবেন স্লট।

এই ডাচম্যান এরই মধ্যে আট ম্যাচ শেষে লিভারপুলকে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে রেখেছেন। এবার চ্যাম্পিয়নস লিগেও অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে কেবল দ্বিতীয় দল হিসেবে জিতলো তিন ম্যাচই। দুই দলই ৯ পয়েন্ট পেয়েছে, গোল ব্যবধানে দ্বিতীয় লিভারপুল।

রেকর্ড গড়েই ক্ষান্ত দিতে চান না স্লট, তার স্বপ্ন আরও বড় কিছু অর্জনের, ‘অনেক সেরা দল এই জার্সি পরেছিল, অনেক সেরা কোচও ছিল এই ক্লাবে। সুতরাং আপনি যদি এমন কিছু অর্জন করতে পারেন, যা আগে কেউ পারেনি, যেটা এই ধরনের বড় ক্লাবে প্রায় অসম্ভব, সেটা করতে পারা সবসময় দারুণ। রেকর্ড ভালো, কিন্তু তারও চেয়ে বড় কিছু আছে এবং আমরা সবাই জানি সেটা কী, আমি মনে করি সেটা হলো ট্রফি।’

লাইপজিগের মাঠে লিভারপুলের একমাত্র গোল করেছেন ডারউইন নুনেজ। ইনজুরির কারণে ম্যাচে ছিলেন না ডিওগো জোতা। তার বদলে একাদশে সুযোগ পান নুনেজ। শুরুর একাদশে উরুগুয়ে তারকার অবস্থান ছিল বিরল। বেশিরভাগ সময়ই তাকে বদলি হিসেবে মাঠে নামতে হয়েছে।

এদিন শুরুর একাদশে থাকার সুযোগ কড়ায়গণ্ডায় কাজে লাগান নুনেজ। উরুগুয়ের তারকা ২৭তম মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর হেড থেকে জালে বল ঠেলে দেন। সালাহ একটি ক্রসে হেড করে বল লক্ষ্যে রেখেছিলেন। বল জালে ঢোকার মুহূর্তে পা বাড়িয়ে জালে জড়ান নুনেজ। তার একটি পরিষ্কার পেনাল্টির আবেদনও প্রত্যাখ্যাত হয়ে যায়। বক্সের মধ্যে উইলি অরব্যানে তাকে ফাউল করেছিলেন। রেফারির নারাজি তাকে হতাশ করলেও তার এমন পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবে স্লটকে নতুন করে ভাবাবে।

অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ক্রসবারে আঘাত করলে লিভারপুল ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।

লাইপজিগের দুর্ভাগ্য, তাদের দুটি গোল বাতিল হয়। লিভারপুল কিপার কাওয়িমহিন কেলেহের বেঞ্জামিন সেসকো ও জাভি সিমন্সের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শট সেভ করে বুন্দেসলিগা ক্লাবকে প্রথম পয়েন্ট পেতে দেননি।