My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


কুড়ি ওভারের ম্যাচেও অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ

লংগার ভার্সন, ওয়ানডে সিরিজের মতো এক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। চারদিনের ম্যাচের পর ওয়ানডে সিরিজের চারটি ম্যাচ হেসে খেলে জিতেছে স্বাগতিকরা। মঙ্গলবার একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে সফরকারী আয়ারল্যান্ডকে ৩০ রানে হারিয়েছে সাইফ হাসানের বাংলাদেশ দল। শুরুতে দুটি টি-টোয়েন্টি থাকলেও নিজ দেশের করোনা বিধির বাধ্যবাধকতার কারনে দুটি বোর্ড মিলে একটি টি-টোয়েন্টি বাতিল করেছে।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে। ২৪ রানে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে হারালেও মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে কোন সমস্যা হয়নি স্বাগতিকদের। বিশেষ করে চতুর্থ উইকেটে তৌহিদ হৃদয় ও সাইফ হাসানের ৫২ রানের জুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বড় স্কোর গড়তে। অধিনায়ক সাইফ ২ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। ৩৬ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় সাইফ নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।

সাইফের বিদায়ের পর শামীমকে সঙ্গে নিয়ে আরেকটি জুটির দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন হৃদয়। ১১ বলে ২৮ রানের ছোট খাটো ঝড় তোলে আউট হন শামীম। তার আউটের পরই মূলত ২০০ রান করার স্বপ্নটা ফিঁকে হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে সম্মত হয় বাংলাদেশ।দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান আসে তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে ৩৫ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় হৃদয় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। ইয়াসির আলী খেলেন ২২ রানের ইনিংস।

১৮৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে লরকান ট্রাকারের ব্যাট থেকে। ২২ বলে ৩৮ রান করেন আইরিশ এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। এছাড়া সে্টফিন ডোহেনির ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।৩.১ ওভারে ২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান সুমন খান। এছাড়া তানভীর ও আমিনুল দুটি করে এবং শামীম ও সাইফ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।