My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে আশাবাদী পেইন

৩২ বছর পর নিজেদের দুর্গ খ্যাত গ্যাবাতে টেস্ট হার, একইসাথে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হার ভারতের প্রায় ‘বি’ দলের কাছে। টিম পেইনের নেতৃত্ব নিয়ে তাই প্রশ্ন ওঠাটা যেনো আকাঙ্ক্ষিতই ছিলো।

স্টিভ স্মিথের বল টেম্পারিং কান্ডের পরেই অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বের ভার ওঠে উইকেটরক্ষক ব্যটসম্যান পেইনের কাঁধে। তার নেতৃত্বে যেন কোনোদিনই অস্ট্রেলিয়ার প্রতাপশালী সব অধিনায়কের ছোঁয়া ছিল না।

এদিকে তার নিজের পারফরম্যান্সও তার পক্ষে যে খুব বেশি কথা বলছে এমন না। উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে যেমন দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ, তেমনি উইকেটের পেছনেও করে গেছেন একের পর এক ভুল। এই যে শেষ টেস্টেই ভারতকে জেতানো ঋষভ পান্তের ৮৯ রানের ইনিংস শেষ হয়ে যেতে পারতো আরও আগেই।

ব্যক্তিগত ১৬ রানে থাকা অবস্থাতেই লায়নের ঘূর্ণিতে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়তেই পারতো পান্ত। সেই সহজ সুযোগ যেনো হেলায় হারিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। পরে সেই পান্তই ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের অধিনায়কের এই অবস্থায় তার প্রতি আস্থা হারানোটায় স্বাভাবিক সমর্থক ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার।

ম্যাচ শেষে প্রেস কনফারেন্সে নিজের বক্তব্যে অবশ্য নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদীই দেখা গেছে তাকে। পেইনের ভাষ্যমতে, ‘এই মুহূর্তে সত্য কথা বলতে আমি এখানে এসেছিলাম শুধুই একটি টেস্ট জেতার চেস্টা করতে। আমরা এখন বরং সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে ভাবছি। আমাদের একটিই লক্ষ্য ছিলো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছানো এবং আমি মনে করি সেটা এখনও সম্ভবপর। এ জন্যই এটিই এখন আমার এবং আমার দলের জন্য মূল ভাবনার বিষয়।’

অস্ট্রেলিয়ার এই টেস্ট অধিনায়ক আরও বলেন, ‘একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে, ভালো দিনের চেয়েও বাজে দিন বেশি আসতে পারে। ব্যাটিং এবং উইকেটরক্ষণেও একই রকম ভাবে বাজে দিন আসতে পারে। ক্রিকেটে সবসময় আপনার মতো মতো সবকিছু হবে না এবং জীবনেও। আমি এর আগেও বলেছি আমার উন্নতির জায়গা রয়েছে। আমি এই দলকে এখনও নেতৃত্ব দিতে চাই। আমাদের অনেক কিছু করা বাকি আছে দল হিসেবে। আমি এই কাজটা শেষ করতে চাই।’

এক দিকে এই সিরিজ জিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৪৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চলে গেছে ভারত, নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় স্থান ছেড়ে দিয়ে ৩৩২ পয়েন্ট নিয়ে অসিদের বর্তমান অবস্থান তিনে। অন্যদিকে সামনেই দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ক্যাঙ্গারুদের তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।

এই সিরিজে আশানুরূপ ফল না পেলে আগামী জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হয়তো জায়গায় হবে না অস্ট্রেলিয়ার। এরপরেই বছরের শেষের দিকে নিজেদের মাটিতে মর্যাদা আর সম্মানের অ্যাশেজ।

সামনের এই ব্যস্ত সূচিতে অস্ট্রেলিয়া যেমন চাইবেনা কোথাও পা হড়কাতে, তেমনি টিম পেইনও এই অস্ট্রেলিয়া দলকে তার নেতৃতেই টেনে নিয়ে যেতে চান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। দেখার বিষয় যে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের বর্তমান অধিনায়কের উপরেই ভরসা রাখে নাকি পরিবর্তন আনে নেতৃত্বে।