My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


ব্যাটিং ব্যর্থতায় খুলনার হার

আবারো ব্যাটিং ব্যর্থতা। আবারো হার। শনিবার গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৮৬ রানে অলআউট হয় জেমকন খুলনা। ৮৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩৮ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মিঠুনের চট্টগ্রাম। তিন ম্যাচে খুলনার এটি দ্বিতীয় হার।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খুলনার দেওয়া ৮৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই সাবলিল খেলতে থাকেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। জয়ের থেকে ১৪ রান দূরে থেকে মাহমুদউল্লাহর শিকারে পরিণত হন ওপেনার সৌম্য। আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে ৪ চারে ২৬ রানের ইনিংস খেলে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। বাকি কাজটুকু মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে শেষ করে আসেন লিটন। প্রথম ম্যাচে ৩৪ রানের ইনিংস খেলা লিটন দলের পক্ষে আজ খেলেন সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস। ৪৬ বলে ৯ চারে লিটন টুর্নামেন্টে নিজের হাফসেঞ্চুরির দেখা পান। অন্যপ্রান্তে মুমিনুল অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ৫ রানে।খুলনার বোলারদের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন মাহমুদউল্লাহ। ৩ ওভারে ১৬ রান খরচায় খুলনার অধিনায়কের শিকার এক উইকেট।

টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা খুলনা শুরুতেই চমক উপহার দেন। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেনিং নামেন সাকিব। এনামুলকে সঙ্গী করে ‘নতুন’ ওপেনারের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। মাত্র তিন রান করেই বিদায় নেন সাকিব। বিদায়ের আগে অবশ্য অনন্য ডাবলের ( ৩০০ উইকেট ও ৫ হাজার রান) মাইলফলক স্পর্শ করেন। তার আগে অবশ্য রানআউটে কাটা পড়েন ওপেনার এনামুল (৬)। 

মোস্তাফিজের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি খুলনার ব্যাটসম্যানরা। আগের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় যুক্ত হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল, আরিফুলরা সাজঘরে ফেরেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রানের ইনিংস খেলেন আগের দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া ইমরুল। ২৬ বলে ৩ চারে ইমরুল তার ২১ রানের ইনিংসটি সাজান। আরিফুল (১৫), জহুরুল (১৪) ও শামীমের (১১) রানের কল্যানে ১৭.৫ ওভারে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮৬। চট্টগ্রামের হয়ে দলের সেরা বোলার মোস্তাফিজ। ৩.৫ ওভারে ৫ রান খরচায় মোস্তাফিজের শিকার ৪ উইকেট। এছাড়া নাহিদুল ১৫ রানে দুটি, তাইজুল ৩০ রানে দুটি উইকেট শিকার করেন।