My Sports App Download


দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই অ্যাশেজ অস্ট্রেলিয়ার

প্রত্যাশিতভাবেই ফের অ্যাশেজ জয় অস্ট্রেলিয়ার। তাও দু’ম্যাচ বাকি থাকতে। বিশ্বের অন্যতম হাই প্রোফাইল টেস্ট সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচের তিনটিই অনায়াসে জিতল অজিরা। বলা ভালো, অ্যাশেজের মতো সিরিজে যে লড়াই প্রত্যাশিত, সেটা দেখাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ব্যতিক্রম শুধু তৃতীয় টেস্টের শেষ ইনিংস। যদিও তাতে হারের খড়্গ উপেক্ষা করা যায়নি।

 

অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অ্যালেক্স ক্যারির সেঞ্চুরির সুবাদে ৩৭১ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস ৮৩ রানের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। দ্বিতীয় ইনিংস অজিরা শুরু করে ৮৫ রানের লিড নিয়ে। ট্রাভিস হেডের নজির গড়া সেঞ্চুরির সৌজন্যে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৩৪৯ রান। লিড দাঁড়ায় ৪৩৪ রানের। সেই অসাধ্যসাধনের চেষ্টায় ইংল্যান্ড থামল ৩৫২ রানে।

 

৪৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেশ ভালোরকম লড়াই করল ইংল্যান্ডের লোয়ার অর্ডার। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ২০৭ রান। পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২৮ রান। সেখানে শেষ চার উইকেটকে পুঁজি করে ১৪৬ তুলল ইংরেজরা। অ্যাডিলেডে পঞ্চম দিন জেমি স্মিথ অর্ধশতরান করেন। তিনি আউট হন ৬০ রানে। ভালো লড়াই করেন উইল জ্যাকস (৪৭) এবং ব্রাইডন কার্সও (৩৯)। জ্যাকস, কার্সরা যখন ব্যাট করছেন তখন অসাধ্যসাধনের স্বপ্নও দেখা শুরু করেন ইংরেজ ক্রিকেট ভক্তরা। কিন্তু ওই দুই ব্যাটার আউট হতেই স্বপ্নের সলিল সমাধি ঘটে। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ৩৫২ রানে। ৮২ রানে হারলেও আগের দুই টেস্টের মতো একপেশে লজ্জার নয় এই হার। অজিদের জয়ের কারিগর কামিন্স, স্টার্ক এবং নাথান লিওঁ। তিন বোলারই ৩টি করে উইকেট পান।

 

পার‌্থে প্রথম টেস্টে এবং ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে আগেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন কামিন্সরা। অ্যাডিলেডে ইংরেজদের হারিয়ে ৩-০ ম্যাচের অপরাজেয় ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ফলে অ্যাশেজের ট্রফি থাকবে অজিদের হাতেই।