My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


ফাইনালে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম, প্রতিপক্ষ খুলনা

বেক্সিমকো ঢাকাকে উড়িয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। শুরুতে মোস্তাফিজ-শরিফুলের গতির কাছে পরাস্ত হয়ে ১১৬ রানেই অলআউট হয় ঢাকা। মোস্তাফিজ গতিতে নাসুমের উইকেটই ভেঙ্গে গিয়েছিল! সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে লিটন-মিঠুনের দায়িত্বশীল ইনিংসে ৭ উইকেটের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে পুরো টুর্নামেন্টে দূর্দান্ত ক্রিকেট খেলা চট্টগ্রাম। আগামী শুক্রবার মাহমুদউল্লাহর খুলনার বিপক্ষে ফাইনালে মুখোমুখি হবে মিঠুনের চট্টগ্রাম।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য সহজ লক্ষ্যই পেয়েছিল চট্টগ্রাম। ১১৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে, পরিস্থিতি অনুযায়ি ব্যাটিং করে চট্টগ্রাম। যদিও সৌম্য-লিটন শুরুতে বেশ কিছু সুযোগ দিয়েছিলেন ঢাকার বোলারদের। কিন্তু ফিল্ডারদের ব্যর্থতায়, সেই সুযোগ আর কাজে লাগাতে পারেনি ঢাকা। সৌম্য অবশ্য ২৭ রান করে দূর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হন। দ্বিতীয় উইকেটে মিঠুন ও লিটন মিলে ৫৭ রান যোগ করেন। ৪৯ বলে ৪০ রান করে মিডউইকেট ক্যাচ দিয়ে আল আমিনের শিকার হন লিটন। ততক্ষণে জয়ের সুভাষ পাচ্ছিলো চট্টগ্রাম। দলীয় ১০৮ রানে মিডউইকেটে সাব্বিরের দূর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যান অধিনায়ক মিঠুন। আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। বাকি কাজটুকু ৫ বল হাতে রেখে সহজেই শেষ করেন শাসমুর (৯) ও মোসাদ্দেক (২), তখনো চট্টগ্রামের হাতে ৭ উইকেট।

ঢাকার বোলারদের মধ্যে মুক্তার আলী ও আল আমিন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা ঢাকা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। কৌশল পরিবর্তন করে সাব্বিরের সঙ্গে মুক্তারকে ওপেনিংয়ে পাঠায় ঢাকা। কিন্তু দলীয় ১৯ রানে দুই ওপেনার বিদায় নেন! ৭ বলে ৭ রান করে মুক্তার ও ১১ বলে ১১ রান করে সাব্বির দলকে বিপর্যয়ে ফেলে বিদায় নেন।দলের নিয়মিত ওপেনার নাঈম শেখ তিন নম্বরে নেমে হয়েছেন ব্যর্থ। ১৭ বলে ১২ রান করে বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুলের শিকার তিনি। আগের ম্যাচের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে এমনিতেই চাপে ছিলেন মুশফিক। তার মধ্যে কোয়ালিফায়ার ম্যাচের মধ্যে সেই চাপ খানিকটা বেশিই থাকে। এমন পরিস্থিতিতে মুশফিকও ভেঙে পড়লেন।

মোসাদ্দেকের বলে স্কয়ার লেগে খেলতে গিয়ে রাকিবুলের শিকারে পরিণত হন তিনি। যাওয়ার আগে ৩১ বলে ২ চারে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন ঢাকা অধিনায়ক।মুশফিকের বিদায়ের পর পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দলকে টেনে তোলা ইয়াসির আলীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিল ঢাকা। কিন্তু দীর্ঘদেহী এই ব্যাটসম্যান গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন। ১ চার ও ১ ছক্কায় ২১ বলে ২৪ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। মিডল অর্ডারে নামা আল আমিনের ১৮ বলে ২৫ রানে ঢাকা কোনোরকমে ১০০ পেরিয়ে যায়। শেষ দুই ওভারে প্রত্যাশিত রান না তোলাতে ২০ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৬।চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজ ৩২ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন। শরিফুল ১৭ রানে নেন ২ উইকেট। এছাড়া রাকিবুল, নাহিদুল, সৌম্য ও মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট নেন।