My Sports App Download


আল আখদৌদের বিরুদ্ধে জোড়া গোল রোনালদোর

একমাসেরও বেশি সময় পর সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে নেমে নিজের চেনা ছন্দে ধরা দিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্দো। আল আখদৌদকে ৩-০ গোলে হারাল আল নাসের। আর এই জয়ে প্রথম দুটো গোল করলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্দো। ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রথম গোলদুটো তিনিই করেন। অন্য গোলটি আসে হোয়াও ফেলিক্সের পা থেকে। এই ম্যাচে জোড়া গোল করে রোনাল্দো ৬৫ বছর ধরে চলা একটি রেকর্ড ভাগ বসালেন।

আল নাসেরের হয়ে এই ম্যাচে রোনাল্দো মোট তিনবার জালে বল জড়ান, কিন্তু একটি গোল বাতিল হয়। সেটা না হলে হয়তো কেরিয়ারের ৬৭ নম্বর হ্যাটট্রিকটা করতেন তিনি। সেটা না আসলেও চিন্তা নেই। কারণ তাঁর জিতেছে এবং তিনি হাজার গোল করার আরও কাছে চলে গেলেন।

বর্তমানে রোনাল্দোর বয়স ৪০। হিসেবে অনুযায়ী, তিনি ৪০ বছর বয়সের পর যা গোল করেছেন সেটা তাঁর ৩০ বছরের আগের থেকে অনেক বেশি। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ৩০ বছরে পা রাখেন। এর পর থেকে তিনি খেলেছেন মোট ৭১৮টি ম্যাচ ও গোল ৪৬৩টি। রেক স্পোর্ট সকার স্ট্যাটিস্টিকস ফাউন্ডেশনের এর তথ্য অনুযায়ী, রোনাল্দোর গোলের হিসেবকে সময়ের সঙ্গে হিসেব করলে তিনি প্রতি ১২২ মিনিটে একটি করে গোল করেছেন।

এই সংস্থা জানিয়েছে, রোনাল্দো জোড়া গোল করে স্পর্শ করেছেন রনি রুকের রেকর্ড। প্রাক্তন ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার ৩০ বছর বয়সের পর গোল করেছিলেন ৪৯৩। যা তিনি করেছিলেন ১৯৪১ সালের পর। এর পর থেকে কোনও প্লেয়ার তাঁর ৩০ বছর বয়সের পর আর ৪৯৩ গোলের সংখ্যাটা স্পর্শ করতে পারেননি। সেই হিসেবে দেখলে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত রনি রুক পেশাদার ফুটবল খেলেছিলেন। আর ১৯৬০ সাল থেকে এই রেকর্ড অক্ষত রয়েছে। ৬৫ বছর পর কোনও প্লেয়ার তাঁর রেকর্ড স্পর্শ করতে পারলেন। বর্তমানে রোনাল্দোর যা ফিটনেস তাতে তিনি দ্রুতই রনি রুকের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর আল ইত্তেফাকের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে আল নাসেরের, সেখানে একটি গোল করলেই এই রেকর্ডের মালিক হয়ে যাবেন রোনাল্দো।

রনি রুক কেরিয়ারের অধিকাংশ সময় খেলেছিলেন আর্সেনাল ও ক্রিস্টাল প্যালেসে। এর পর তিনি বেডফোর্ড টাউন, হেওয়ার্ডস হিথ টাউন ও অ্যাডলস্টোনের মতো ক্লাবে খেলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও তিনি ফুটবল খেলেছিলেন।