My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


নিউজিল্যান্ডে নিরাপদে আছেন তামিম-মুশফিকরা

নিউজিল্যান্ডে রিখটার স্কেলে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর বর্তমানে দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যদিও ভূমিকম্পে ক্রিকেটারদের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।

এ ব্যাপারে আকরাম খান বলেছেন, ‘‘সবাই সুস্থ আছে। লজিস্টিকস ম্যানেজার সাব্বির খানের সঙ্গে কথা বলেছেন।, ‘তিনিই জানিয়েছেন কারোই কোন সমস্যা হয়নি। গভীর রাতে ভূমিকম্প হয়েছি। দলের সবাই তখন ঘূমিয়ে ছিল। কেউই আসলে টের পায়নি, ভূমিকম্প যে হয়েছে।’’  কিউইদের সঙ্গে সিরিজে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি ট-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল বর্তমানে ক্রাইস্টচার্চে অবস্থান করছে। ভূমিকম্পের কোনো প্রভাব সেখানে পড়েনি। তবে জননিরাপত্তা বিভাগ সর্ব সাধারণকে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ, ভূমিকম্পের পর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে উঁচু ও অস্বাভাবিক ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলটি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ এলাকা জুড়ে সুনামির তরঙ্গ দেখা দিতে পারে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ মার্চ) রাত ২টা ২৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ৪ মার্চ ৯টা ২৭ মিনিটে) এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল এমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে যে সুনামির স্রোত সৃষ্টি হয়েছে, তা তাদের দেশে আছড়ে পড়বে কিনা, তা এখনও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।   এর আগে ২০১১ সালে একটি ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প সরাসরি আঘাত হেনেছিল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে। শহরটির অর্ধেক প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ১৮৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ওই ঘটনায়। ধ্বংসের মুখে পড়েছিল অধিকাংশ শহরতলিও। সেখানেই ক্রিকেটাররা বর্তমানে অবস্থান করছে। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ক্রিকেটারদের নিরাপদে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘ক্রিকেটারদের প্রত্যেকে নিরাপদে আছে। তাদের কোন সমস্যা হয়নি। ক্রাইস্টচার্চে ভূমিকম্পের কোন আঁচ পড়েনি। কেননা ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ক্রাইস্টচার্চ অনেক দূরে। ওখানে কোন প্রকার সতর্কবার্তাও জারি করা হয়নি।’

নিউজিল্যান্ডে লম্বা সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। ২০, ২৩ ও ২৬ মার্চ হবে তিনটি ওয়ানডে; ভেন্যু যথাক্রমে ডানেডিন, ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটন। ক্রাইস্টচার্চের ম্যাচটি দিবা-রাত্রির হবে। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। ম্যাচ তিনটি ২৮, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। নেপিয়ার, অকল্যান্ড ও হ্যামিল্টনে হবে কুড়ি ওভারের সিরিজ।বাংলাদেশের সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরও সুখকর কিছু ছিল না। ২০১৯ সালের শুরুতে ক্রাইস্টচার্চে এক মসজিদে উন্মত্ত বন্দুকধারী এলোপাথাড়ি গুলিতে ৫০ জন মুসল্লীকে খুন হয়। বাংলাদেশ দলও ওই মসজিদে নামায আদায় করতে যাচ্ছিলেন। ভাগ্যের সহায়তায় ক্রিকেটোররা সেদিন বেঁচে গিয়েছিলেন। ভয়ানক এই অভিজ্ঞতা নিয়েই সিরিজ শেষ না করেই দেশে ফিরতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। ভূমিকম্পের ঘটনায় আবারও এমন কিছু ঘটলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সেটি হবে দূর্ভাগ্যজনক।