My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


সাকিবদের স্পিন কোচ হচ্ছেন হেরাথ, ব্যাটিং কোচে এগিয়ে সিডন্স

গত এক বছর ধরেই স্পিন কোচ ছাড়া খেলছে বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ড সফরে ড্যানিয়েল ভেট্টরি কোচিংয়ের দায়িত্বে থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে হোম এন্ড অ্যাওয়ে সিরিজে ছিলেন না কিউই সাবেক এই ক্রিকেটার। করোনার কারনে কোয়ারেন্টি ইস্যুতেই মূলত দেশের বাইরে যেতে পারেননি ভেট্টরি। তবে এতোদিন স্পিন বোলিং কোচ ইস্যুতে চুপচাপ থাকলেও নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। জুনে জিম্বাবুয়ে সফরের আগেই স্পিন বোলিং কোচের পাশাপাশি ব্যাটিং কোচও নিয়োগ দিতে চাচ্ছে বিসিবি।কোচ নিয়োগ ইস্যুতে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের কাছে যেহেতু সময় আছে আমরা আগেও বলেছি যে এই কোভিডের সময় কোচ নেওয়াটা কঠিন। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি। আশা করি জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে আমরা কোচ নিতে পারবো। যেহেতু জিম্বাবুযে সিরিজের পরপরই অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড আসবে, তাই আমরা এখনই চেষ্টা করছি।’

তবে কোচ হিসেবে কাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই জানায়নি বিসিবি। তবে একটি সুত্রে জানা গেছে। ব্যাটিং কোচ হিসেবে বিসিবির পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে আছেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ জেমি সিডন্স। অন্যদিকে স্পিন কোচ হিসেবে বিসিবির পছন্দ লঙ্কান সাবেক ক্রিকেটার রঙ্গনা হেরাথ। ঘরোয়া ক্রিকেট এখনো চালিয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন লঙ্কান এই স্পিনার। কোচ হিসেবে সেভাবে অভিজ্ঞতা নেই তার। তবুও তার প্রতিই আগ্রহী বিসিবি! ৪৩ বছর বয়সী বাঁহাতি এই স্পিনার ৯৪ টেস্ট খেলে ৪৩৩ উইকেট শিকার তার। ওয়ানডেতে ৭৪ আর টি-টোয়েন্টিতে ১৮ উইকেট নিয়েছেন। তাকে নিয়েই জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়ার জোড় সম্ভাবনা রয়েছে।আকরাম খানের এই কথাতেই স্পষ্ট ভেট্টরিকে আর চাচ্ছে না বিসিবি। কিউই এই ক্রিকেটারের সঙ্গে ১০০ দিনের চুক্তি করেছিল বিসিবি, ‘করোনার এই পরিস্থিতি তাকে (ভেট্টরি) তাকে এখন পাওয়া কঠিন। আর এ কারণেই তার ব্যাপারে আমরা আগ্রহ দেখাচ্ছিনা।’

এদিকে বাংলাদেশের সাবেক কোচ জেমি সিডন্সের ব্যাপারে বেশ আগ্রহ রয়েছে বিসিবিরি। তার সময়ের চার বছরে বড় দলের বিপক্ষে দেশে-বিদেশে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছেন সাকিবরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েও সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। তার তত্ত্বাবধানেই ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ঘরের মাঠে ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসকে হারালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫৮ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৭৮ রানে অলআউট হওয়ার পর নতুন করে সিডন্সের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি বিসিবি। সেই সিডন্সকেই ফের ব্যাটিং কোচের ভূমিকাতে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে রয়েছেন জন লুইস। তাকে ঘিরে অভিযোগ রয়েছে অলস প্রকৃতির জন তামিম-মুশফিকদের নিয়ে খুব একটা কাজ করেন না। এই কারনেই জনকে বদলে সিডন্সকে কোচ হিসেবে পেতে চায় বিসিবি। এছাড়া তার চার বছরে সাকিব, তামিম, মুশফিকরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে। যার ফল এখন ভোগ করছে অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। বিসিবি সুত্রে জানা গেছে সিডন্স ইস্যুতে এখনো কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি তারা।

আকরাম খান অবশ্য জানালেন কোন কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘স্পিন কোচ এশিয়া থেকে তিন জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। শ্রীলঙ্কা, ভারত ও পাকিস্তান থেকে এসেছে। আমরা দুই, তিন দিনের মধ্যে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। সত্যি কথা বলতে কি স্পিন কোচের ব্যাপারে আমাদের সোহেলকেও অনেক প্লেয়ার চাচ্ছে। তাই আমরা সবকিছু বিচেনা করে এই সিদ্ধান্ত নেবো।’এদিকে ব্যাটিং কোচ নিয়ে আকরাম খান বলেছেন, ‘ স্পিন কোচ ছাড়াও নতুন ব্যাটিং কোচ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। লুইসের ব্যাপরে কারো কারো আগ্রহ আছে, কারো কারো নেই। প্রথমে ওর সিদ্ধান্তটা আমরা নেব, ওকে আমরা রাখব কি রাখব না, সেটাও আলোচনার ব্যাপার। যদি না রাখি, তাহলে আমাদের হাতে বেশ কিছু শর্ট লিস্টেড আছে। এরমধ্যে এক জন আছেন যিনি আগেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করেছেন। সবকিছু ঠিক করতে হয়তো ৩/৪ দিন সময় লাগবে।’শট লিস্টেড কোচদের নাম জানতে চাইলে আকরাম খান বলেছেন, ‘আমরা আগে বলে দিলে যারা আগ্রহ দেখায়, তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই আমাদের নাম বলতে নিষেধ করা হয়েছে। এবার আমরা বেশিরভাগ লং টার্ম চিন্তা করবো। তার মধ্যে কিছু ব্যাপার আছে। তালিকায় কিছু কোচ আছে যাদের আমরা ২-৩ টা সিরিজের জন্য নিয়ে দেখবো। যদি ভালো করে তবে আমরা কন্টিনিউ করবো।’