সাইফ হাসানের সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ড ইমার্জিং দলকে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। সফরকারীদের দেওয়া ২৬০ রান তাড়া করতে নেমে ২৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর গাড়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ। যেখানে সাইফের অবদান ১২৫ বলে ১২০ রান। দারুণ এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের সিরিজটি নিয়ে প্রতিদিনই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রথম ম্যাচ চলকালে আইরিশ ক্রিকেটার রুহান প্রিটোরিয়াসের করোনা পজেটিভ হওয়াতে ম্যাচটি বাতিল হয়। দ্বিতীয় ম্যাচেও শঙ্কা ছিলো। কিন্তু দুই দলের কারোই করোনা ধরা পড়েনি। ফলে যথাসময়ে ম্যাচটি গড়ায়। মঙ্গলবার তৃতীয় ম্যাচের আগের দিন আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের সঙ্গে একই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা এক নিরাপত্তা কর্মীর করোনা পজিটিভ আসে। ফলে সবার করোনা রিপোর্ট দেখে নিশ্চিত হয়েই ম্যাচটি মাঠে গড়ায়। যার কারনে দুই ঘন্টা পরে সকাল ১১ টায় ম্যাচটি মাঠে গড়ায়।চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় সফরকারী দল। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬০ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে লরকান টাকারের ব্যাট থেকে। ৫২ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় টাকার ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া কার্টিস ক্যাম্পার ৪৩, জেমস ম্যাককালাম ৪০ ও অধিনায়ক হ্যারি টেক্টরের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রানের ইনিংস। বাংলাদেশে দলের বোলারদের মধে সবচেয়ে সফল বোলার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। এই পেসার ৫৩ রান খরচায় তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া সুমন খান ও তৌহিদ হৃদয় একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
২৬১ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৪ রানেই ওপেনিং জুটি ভাঙ্গে বাংলাদেশ দলের। তানজিদ হাসান (১৭), মাহমুদুল হাসান (১৬) ও ইয়াসির আলী (১৩) দ্রুত বিদায় নিলেও ওপেনিং নামা সাইফ হাসান এক প্রান্ত আগলে ধরে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছেন। দলীয় ১৯৫ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন সাইফ। ততোক্ষণে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন এই ওপেনার। ১২৫ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় সাইফ ১২০ রান করে আউট হয়েছেন। বাকি পথটুকু তৌহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন সহজেই পাঁড় করেন। দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে এই দুই জুটি ৬৯ রান করেন। হৃদয় ৪৪ বলে ৪৩ রান এবং শামীম ২৫ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। আর তাতেই ২৭ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে লাল-সবুজ জার্সীধারীরা। মঙ্গলবার জয়ের খুশি নিয়েই ঢাকায় ফিরছে বাংলাদেশ দল। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ দুটি ওয়ানডে খেলতে নামবে দুই দল। ১২ ও ১৪ মার্চ শেষ দুটি একদিনের ম্যাচ খেলার পর একই ভেন্যুতে ১৭ ও ১৮ মার্চ দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে সফরকারী দল।