My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে আবারও আম্পায়ারিং বিতর্ক

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ গত কয়েক বছর ধরে দারুণ উত্তাপ ছড়াচ্ছে। আইসিসি ইভেন্ট, এশিয়া কাপ তো বটেই। বয়সভিত্তিক দলেও দেখা যায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। মাঝেমধ্যে জড়িয়ে যান আম্পায়াররাও।

এবারের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা উত্তপ্ত ম্যাচের ভেন্যু ওমানের আল আমেরাত গ্রাউন্ড। ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ম্যাচটি ছিল দুই দলের জন্য অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল। শেষ ৩ ওভারে জিততে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দরকার ছিল ৩৭ রান। হাতে ৩ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে ১৮তম ওভার করতে এলেন শ্রীলঙ্কার পেসার ঈশান মালিঙ্গা। ঈশান বল ছোড়ার মুহূর্তেই আম্পায়ার হঠাৎই ডাকলেন ডেড বল। ততক্ষণে আবু হায়দার রনি লং অফ এলাকা দিয়ে মেরেছেন ছক্কা। তখনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। ডাগআউট থেকে নো বলের সংকেত দিচ্ছিলেন কোচ সোহেল ইসলাম ও তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী রেগেমেগে চতুর্থ আম্পায়ারের দিকে গেলেন।

সোহেল-হৃদয়রা যে নো বলের ইশারা দিচ্ছিলেন, সেটার যুক্তি খুঁজে পেয়েছেন ধারাভাষ্যকারেরা। তখন ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘বল ঠিক ছোড়ার সময়ই আম্পায়ার ডেড বল ডেকেছেন। লং অফ দিয়ে ছক্কা মারার পর আম্পায়ার লং অনের দিকে কোনো ফিল্ডারকে ইঙ্গিত করছিলেন। তিনি দাবি করছিলেন ফিল্ডার ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে। তাতে এটা ডেড বল না, নো বল ডাকা উচিত ছিল। বৃত্তের ভেতরে ৩ ফিল্ডার থাকলে এটা নো বলই হওয়ার কথা।’

ওমানের আল আমেরাত ঘটনা হয়তো অনেক ভক্ত-সমর্থককেই টাইম মেশিনে চড়িয়ে নিয়ে গেছে ২০১৮ সালে। কলম্বোর প্রেমাদাসায় নিদাহাস ট্রফির ম্যাচে লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানার বাউন্সার ছেড়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। স্কয়ার লেগ আম্পায়ার ওয়াইড ডাকলেও পরে সেটা বাতিল করা হয়। তখন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তর্কে জড়িয়েছিলেন আম্পায়ারদের সঙ্গে। এমনকি সতীর্থদের মাঠ ছেড়ে চলে আসতে বলেছিলেন। বিতর্কিত সেই ঘটনার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঐতিহাসিক ছক্কায় ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ে বাংলাদেশ উঠেছিল নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে।

ছয় বছর পর আল আমেরাত গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ রয়ে গেল পরাজিত দলে। ১৯ রানে হেরে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬১ রান করে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল। রান তাড়া করতে নেমে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ দিশা খুঁজে পাচ্ছিল রনির ব্যাটিংয়ে। ২৫ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান তাঁর ব্যাটে এলেও ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪২ রানে আটকে যায় দলটি।