পাল্লেকেলেতে একই মাঠে দুইরকম উইকেটে দুটি টেস্ট খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে প্রথম টেস্টটি ড্র করলেও স্পিন বান্ধব উইকেটে দ্বিতীয় টেস্টটিতে ২০৯ রানের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। তবে মুমিনুল মনে করেন দ্বিতীয় টেস্টে আগে ব্যাটিং করতে পারলে ফলাফলটা উল্টো হতো।
প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের ৪৯৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে মুমিনুলরা ২৫১ রানে অলআউট হয়। বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে আবার ব্যাট করে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করে ১৯৪ রান। সবমিলিয়ে ৪৩৭ রানের অসম্ভব লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২২৭ রানে অলআউট হয় মুমিনুলের দল। এমন বাজে হারের পেছনে পরে ব্যাটিং করাকেই সামনে আনলেন মুমিনুল, ‘দেখতে অনেকটা একই রকম ছিল (উইকেট প্রথম টেস্টের মত)। আমরা যদি আগে ব্যাটিং করতাম, তখন দেখতেন যে গল্পটা ভিন্নরকম হত। ওরা আমাদের জায়গায় থাকতো, আমরা ওদের জায়গায় থাকতাম।’
প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশ দূর্দান্ত খেলেছিল। দ্বিতীয় টেস্টে টস হেরে আগে বোলিং করতে হয়েছে। টানা দুই দিন লঙ্কানরা ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৪৯৩ রান তোলে। এমন উইকেটে টস জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘টেস্ট ম্যাচে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল টস। প্রথম ২ দিনে কিন্তু উইকেটে বোলারদের জন্য কোনো সুবিধা ছিল না। আমার মনে হয়েছে, এই ম্যাচটার ৫০ শতাংশ ফলাফল টসের সময়েই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। কন্ডিশন অনেকটা একই। পার্থক্য শুধু এখানে আর্দ্রতা একটু বেশি ছিল।’
স্পিন বান্ধব উইকেট দুইজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। মুমিনুল মনে করেন তাদের একাদশ নির্বাচন ঠিকই আছে, ‘এসব উইকেটে খুব বেশি স্পিনার লাগে না যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে। আমাদের তো দুজন খুব ভালো মানের স্পিনার ছিল, আমার মনে হয়না আরেকটা স্পিনার লাগতো। দুই স্পিনারই আমার মনে হয় যথেষ্ট।’
অভিষিক্ত প্রভীন জয়াবিক্রমা ১১ উইকেট নিয়ে একাই গুড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। বাঁহাতি স্পিনারের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের ঘাটতি আছে কিনা এমন প্রশ্নে মুমিনুল বলেছেন, ‘বিশেষ বোলারের জন্য সবারই বিশেষ পরিকল্পনা থাকে। কেউ সেটা কাজে লাগাতে পারে আর কেউ পারেনা। আমি যখন বাঁহাতি স্পিনারের বিপক্ষে খেলছিলাম, তখন একরকম প্লান ছিলো। হয়তো কোন কোন সময় এই পরিকল্পনাগুলো মাথায় থাকে না। আরেকটা বিষয় হলো এসব উইকেটে খুব বেশি ইতিবাচকও থাকা জরুরি। ’