ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোয়াডে পাঁচ পেসার ছিলো। কিন্তু দুই টেস্টেই মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ পেসার খেলানো হয়েছিলো। এ নিয়ে সিরিজ শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ক্ষোভ ঝেরেছেন। টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে বোর্ড সভাপতি জানতে চেয়েছেন, স্কোয়াডে ৫ পেসার থাকতেও কেন একাদশে এক পেসার? এদিকে নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির ২০ জনের স্কোয়াডে ৭ জনই পেসার। পেস বান্ধব কন্ডিশন ও করোনার কারনেই মূলত স্কোয়াড বড় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।
নিউজিল্যান্ড সফরের স্কোয়াডে তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকারকে নিয়ে সাত পেসারকে নিয়েছে নির্বাচকরা।শুক্রবার কক্সবাজারে প্রধান নির্বাচক দলে সাত পেসার নেওয়া প্রসঙ্গে বলছেন, 'করোনার জন্য একটু বড় স্কোয়াড দিতে হয়। ওখানে কোয়ারেন্টিন শেষ করে ক্যাম্প যখন শুরু হবে তখন সব খেলোয়াড়ের ফিট থাকার ব্যাপার আছে, এজন্য স্কোয়াড বড় করেছি। কারো ইনজুরি কিংবা কোনো সমস্যা হলে নতুন করে কাউকে ওই সময় নেওয়া কঠিন। ওরা যে সিস্টেম করেছে তাতে কেউ আসতে পারবে না এবং যেতে পারবে না। এখন যারা একসাথে যাবে তাদের একসাথেই আসতে হবে।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'দুই ফরম্যাটেই অনেক খেলা আছে। এজন্য স্কোয়াড বড় করা। যেহেতু ঘরোয়া ক্রিকেট পুরোপুরি শুরু করতে পারিনি।'ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে থাকলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। তবে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছের নাসুম আহমেদ। তাইজুলের বাদ পড়া এবং নাসুমের দলে ঢোকা প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, 'টেস্ট ক্রিকেটে এখন তাইজুলকে বেশি খেলানোর চিন্তাভাবনা করছি। নাসুমকে তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ভাবনায় রেখেছি। ঘরোয়াতেও ওর পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। আশা করছি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নাসুম নিজেকে মেলে ধরতে পারবে।'এদিকে অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন ও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাঈম শেখ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ফিরেছেন, 'মোসাদ্দেককে নেওয়া হয়েছে ব্যাকআপ খেলোয়াড় হিসেবে। যেহেতু ব্যাটিং বোলিং পারে, অলরাউন্ডার। টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করলে ওকে খেলাবে।