বুধবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে এক রানের জয় পায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। শেষ ওভারে জিততে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল মিনিস্টার রাজশাহীর। বোলিং করতে এসে নিজের প্রথম বলেই নুরুল হাসান সোহানকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান।
এরপরের দুই বলে কোনো রান নিতে দেননি এই কাটার মাস্টার। চতুর্থ বলে অবশ্য তাঁকে ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের রাজশাহীর জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন রনি তালুকদার। পঞ্চম বলে ইনসাইড এজ হয়ে পেছন নিয়ে চার হয়ে যায়। শেষ বলে দুই রান নিলেও ১ রানে ম্যাচ হেরে যায় রাজশাহী।
টানটান উত্তেজনার এমন ম্যাচে স্বভাবতই সমর্থকদের স্নায়ু চাপ বেড়ে যায়। আর সেই চাপ বহুগুণে থাকে মাঠের ক্রিকেটারদের ভেতর।
এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল বুধবার রাজশাহী বনাম চট্টগ্রামের মধ্যকার ম্যাচে। চট্টগ্রামের ছুঁড়ে দেয়া ১৭৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও নুরুল হাসান সোহান এবং রনি তালুকদারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কারণে শেষ বল অবধি গড়ায় ম্যাচ। তবে রাজশাহীকে জেতাতে পারেননি এই দুই ব্যাটসম্যান। ১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁদের।
শেষ ম্যাচের রোমাঞ্চে জয় পেলেও দলের খেলোয়াড়রা চাপে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাস। চাপমুক্ত থেকে খেলার কারণেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
লিটন বলেন, দেখেন তিনটা খেলা আমরা সাধারণভাবেই জিতেছি, কোনো প্রেশার ছিলো না। আজকের ম্যাচটা প্রায় আমরা হেরে গিয়েছিলাম। টি-টোয়েন্টি গেমে এরকম একটা জয় খুব দরকার দলের জন্য। আমরা তো পারি, এই জিনিসটা আজকে আমরা বুঝলাম যে বোলিং করেও ভরসা করতে পারবো।'
'আমি তিনটা ম্যাচ খেলেছি যে জিনিসটা ফিল করেছি যে এরকম একটা খেলায় ইনভল্ভমেন্ট বেশি থাকে। এরকম একটা ম্যাচ জিততে পারলে হয়তোবা আমাদের বড় যেই টার্গেটটা আছে সেটার দিকে আমরা এগোবো আস্তে আস্তে। আশা করছি সবাই খুব ভালো ফিল করছে আজকের খেলাটাতে।'