সেই মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাদা পোষাকে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। এরপর দীর্ঘ এক বছর পর আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে সাদা পোষাক, লাল বলের ক্রিকেট খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। দীর্ঘ এই বিরতিতে ক্রিকেটারদের ফর্ম নিয়ে দু:চিন্তায় আছে বিসিবি। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান এমন সংশয়ের কথাই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে দুই দল। আকরাম খান মনে করেন দশ মাসের বিরতি ক্রিকেটাররে মাঠের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে। এমন অবস্থায় আকরাম দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের দিকে তাকিয়ে, ‘এতদিন গ্যাপ থাকার পর মাঠে ফিরে ভালো খেলাটা খুব কঠিন। ওদের পারফরম্যান্স বা ওদের ফর্ম নিয়েও আমরা অনেক চিন্তায় আছি। যেহেতু দীর্ঘ বিরতি গিয়েছে, সবমিলিয়ে তাই খেলোয়াড়দের জন্য কঠিন হবে। সো সেদিক নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। তবে আশা করছি আমাদের যেহেতু কিছু কোয়ালিটি প্লেয়ার আছে। তারা হয়তো ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবে।’
২০২০ সালে সর্বোচ্চ দশটি টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। টেস্টের ইতিহাসে এক বছরে এতো সংখ্যক ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ দল। কিন্তু করোনার কারনে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ ভেস্তে গেছে মুশফিকদের। বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত হতাশার বলে মনে করেন আকরাম খান, ‘এ বছর আমাদের অনেকগুলো টেস্ট মিস হয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন যে পর্যায়ে আছে, আমরা আসলে যত বেশি খেলতে পারব তত উন্নতি করব। আমরা ওয়ানডেতে, টি-টোয়েন্টিতে বেশি খেলার পর দেখেন একটা পর্যায়ে আসছি। টেস্টেও বেশি বেশি খেলতে পারলে, আমাদের জন্য ভালো করা সম্ভব হতো। কিন্তু সেই সুযোগটা গত বছর আমাদের হাতছাড়া হয়েছে। চেষ্টা করছি সেগুলো ফিরিয়ে এনে খেলার। আমাদের বিশ্বাস, যত বেশি আমরা টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারবো, আমরা ততো বেশি উন্নতি করতে পারবো।’
টেস্টে ভালো করতে পেস বোলারদের পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, সুমন খানের মতো বেশ কয়েকজন তরুণ দারুন বোলিং করেছেন। এমন সব বোলারাদের দেখে টেস্টেও ভালো করার স্বপ্ন দেখছেন আকরাম খান, ‘গত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আমরা বেশ কিছু পেস বোলার পেয়েছি। এদেরকে যদি ভালোভাবে পরিচর্যা করতে পারলে, ভবিষ্যতে ওরা আমাদের এই ফরম্যাটে সাপোর্ট দিতে পারবে।’