My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


ছক্কায় লুইসের সেঞ্চুরি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সান্ত্বনার জয়

তিন বছর তিন মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমেছিলেন এভিন লুইস। রান নিতে গিয়ে পায়ের মৃদু ইনজুরিতেও পড়লেন। সংকট কাটাতে সিঙ্গেল-ডাবলসের চেয়ে মনোযোগ দিলেন বড় শট খেলায়। অন্য প্রান্ত থেকে দারুণ সঙ্গ দিলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শেরফানে রাদারফোর্ড। দুই ব্যাটারের ব্যাটিং তাণ্ডবে বৃষ্টিতে সংশোধিত ২৩ ওভারের ম্যাচে ১৯৫ রানের কঠিন লক্ষ্য ৬ বল বাকি থাকতেই জিতে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তারা হোয়াইটওয়াশ এড়ালো ৮ উইকেটে জিতে।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাথুম নিসাঙ্কা ও আভিষ্কা ফার্নান্ডো ১৭ ওভারেই ৮১ রান তোলেন। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে রোস্টন চেজের ভাঙে এই জুটি। তারপর বৃষ্টির কারণে পাঁচ ঘণ্টা কেলা বন্ধ থাকার পর ইনিংসের দৈর্ঘ্য কমে ২৩ ওভারে করা হয়। ইনিংস শুরু হতেই চেজের বাকি চার বলে টানা বাউন্ডারিতে ১৬ রান তোলেন কুশল। এই আগ্রাসন চলেছে বাকি সময় ধরে।

শেষ ছয় ওভারে কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিসাঙ্কা ঝড় তোলেন। শেষ ৩৪ বলে ৭৫ রান যোগ করে লঙ্কানরা। দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিল্ডারের হাত ফসকে দুইবার বেঁচে যাওয়া নিসাঙ্কা ৫৬ রান করে আউট হলে ভাঙে তাদের ৫৭ রানের জুটি। দুইবার জীবন পান কুশলও, ২২ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৩ উইকেটে ১৫৬ রান করে শ্রীলঙ্কা।

বৃষ্টি আইনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৫ রানের। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ৩৬ রানে ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং (১৬) মাঠ ছাড়েন। তারপর একপ্রান্ত থেকে রানের গতি ধরে রাখেন লুইস। শাই হোপের (২২) সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৪ বলে ৭২ রানের।

এই জুটি ভেঙে ভালোই হয়েছে। আগের দুই ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান রাদারফোর্ড চমৎকার ফর্ম ধরে রেখে লঙ্কান বোলারদের ওপর চড়াও হন। একই পথ অনুসরণ করেন লুইস। ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি।

দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রানরেট কমতে থাকে। শেষ ১৮ বলে দরকার ছিল ২৮ রান। ২১তম ওভারে দিলশান মাদুশাঙ্কা দারুণ ইয়র্কারে ক্যারিবিয়ানদের ওপর চাপ বাড়ালেও লুইসের ছক্কায় তা উড়ে যায়।

১২ বলে ১৫ রানের প্রয়োজন মেটাতে ভুগতে হয়নি সফরকারীদের। ২২তম ওভারের চতু্র্থ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নেন রাদারফোর্ড। জিততে তখন দরকার ৬ রান, আর তার ফিফটির জন্য এক রান এবং লুইসের সেঞ্চুরি করতে লাগতো চার রান।

সিঙ্গেল নিয়ে রাদারফোর্ড এই সফরে টানা তৃতীয় ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি করেন ২৬ বল খেলে। সময় নষ্ট করেননি লুইস, ২০২১ সালের জুলাইয়ের পর প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামা এই ব্যাটার পরের বলেই ছক্কা মেরে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি করেন এবং দলও জিতে যায়। ৬১ বলে ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার। ২৬ বলে ৫০ রানে খেলছিলেন রাদারফোর্ড। ৪৫ বলে ৮৮ রানের অপরাজিত জুটিতে ২২ ওভারে ২ উইকেটে ১৯৬ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।