মোস্তাফিজ-শরিফুলের বোলিংয়ের কাছে হার মানতে হয়েছে ফরচুন বরিশালকে। এই দুইজন মিলে বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপকে গুড়িয়ে দিয়েছেন। ১৫২ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে হারিয়ে ১৪১ রানে থামতে বাধ্য হয় তামিমের দল। ফলে ১০ রানের জয়ে হাসিমুখে মাঠ ছাড়েন টুর্নামেন্টে টানা তৃতীয় জয় পাওয়া গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
আগের দুই ম্যাচের মতো আজকের ম্যাচেও ওপেনিংয়ে নামেন মেহেদী হাসান। কিন্তু আগের মতোই ব্যর্থ মিরাজ। আজও দলের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক তামিম। ৩২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রান করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এরপরই মূলত তাণ্ডব চালান মোস্তাফিজ-শরিফুল জুটি। দুইজনের বোলিংয়ে বরিশালের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার ভেঙ্গে পড়ে। ২২ বলে ২৪ রান করে দলের দ্বিতীয় সেরা সংগ্রাহক আফিফ। এছাড়া তৌহিদ হৃদয় ১০ বলে ১৭ এবং সুমন খান ৮ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলেন।
চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে ২৩ রানে তিন উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার মোস্তাফিজ। এছাড়া শরিফুল ইসলামও সমান সংখ্যক উইকেট নেন ২৭ রান খরচায়। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও সৌম্য সরকার।এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে। টুর্নামেন্ট জুড়েই দলগত পারফরম্যান্স করছে চট্টগ্রাম। সোমবারও এর বত্যয় ঘটেনি। তবে আজ চট্টগ্রামের জন্য সৌভাগ্য হয়ে এসেছে মুমিনুলের ইনজুরি! বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ইনজুরিতে সুযোগ পান সৈকত আলী। এই অলরাউন্ডারের বিস্ফোরক ব্যাটিংটা মূল ভূমিকা রেখেছে। ১১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় সৈকত ২৭ রানের ইনিংস খেলেন।
আগের দুই ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করে ব্যাটিং করেছেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। সোমবার লিটন সফল হলেও ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য। ২৫ বলে ৪ চারে লিটন দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। সৌম্য ৫ রানে আউট হয়েছেন। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন ২৮, শামসুর রহমান ২৬ ও মোহাম্মদ মিঠুন ১৭ রান করেছেন।বরিশালের বোলারদের মধ্যে আবু জায়েদ ৪২ রানে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া সুমন খান, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।