My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাননি মায়ার্স!

রেকর্ডবুক ওলট পালট করে দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন কাইল মায়ার্স। অভিষেক ৫টি ডাবল সেঞ্চুরির ইতিহাস থাকলেও চতুর্থ ইনিংসে কেবল মায়ার্সই এমন অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। নিজে কেবল ২১০ রানের ইনিংসই খেলেননি, দলকেও নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। রবিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এমন ইনিংস খেলার পথে স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাননি মায়ার্স!

চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি, সময়পযোগী বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে ৩৯৫ রানের বিশাল টার্গেটকে মায়ার্স মামুলি বানিয়ে ফেলেছেন। ৪১৫ মিনিট ক্রিজে থেকে ৩১০ বল খেলে দলকে জয়ের মালা পরিয়ে দিয়েছেন অভিষিক্ত এই তরুণ। কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া মায়ার্স চাপ কমাতে স্কোবোর্ডের দিকেও তাকাননি। ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমি আসলে লক্ষ্যের দিকে তাকাচ্ছিলাম না। আমি আমার পরিকল্পনা নিয়ে যতক্ষণ সম্ভব এগুনোর চেষ্টা করছিলাম, চেষ্টা করেছি স্কোরবোর্ডের দিকে না তাকাতে, যত বেশিক্ষণ পারা যায় ততক্ষণ ব্যাট করতে। আমার নিজের মধ্যে বিশ্বাস ছিল যে আমি সারা দিন ব্যাট করতে পারলে দল জয় পাবে। 

৩৩টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৩টি সেঞ্চুরি ও ১২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৬৬৮ রান রয়েছে মেয়ার্সের। এই অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠে নেমেই করলেন বাজিমাত। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা ২১০ রানের এই ইনিংসটিকে বিশেষ উল্লেখ্য করে মায়ার্স বলেছেন, ‘আমার কাছে এটি খুবই স্পেশাল। আমার সর্বোচ্চ স্কোর। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে আমি এবারই এতক্ষণ ব্যাট করলাম। সুতরাং এটি আমার কাছে অনেক স্পেশাল যে আমি আমার প্রথম টেস্টেই ডাবল পেয়েছি।’ডাবল সেঞ্চুরি কিংবা রেকর্ড এসব কোন কিছুই মায়ার্সের পরিকল্পনায় ছিলো না। অভিষিক্ত এই ক্রিকেটারের ভাবনাতে কেবল ছিলো দলের জয়, ‘ব্যক্তিগতভাবে সেঞ্চুরির চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম যে দলের জন্য আমার আরও বেশি করা প্রয়োজন ছিল। ব্যাটিং করার সময় ১৫০ করার চিন্তা করছিলাম। দিনের শুরুতে আমি ভেবেছিলাম যদি আমি ১৫০ বা ১৬০ করি তাহলে দল জয়ের জন্য ভালো অবস্থানে থাকবে। কিন্তু ১৬০ ছোঁয়ার পর আমি বুঝতে পারলাম যে আমাকে আরও দূর যেতে হবে এবং এটি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল।’

তিন সেশনের বেশি সময় ব্যাটিং করার পরও মায়ার্স জানালেন উইকেটে ব্যাটিং করা এতোটা সহজ ছিলো না, ‘ এই উইকেটে ব্যাট করা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ছিল। বোলাররা ভালো করেছে। এমন কিছু সময় ছিল যখন আমাদের পিচে খুটি গেড়ে টিকে থাকতে হয়েছে। এরপর রান করার সুযোগ এলে সেটি নিয়েছি। কিছু বল নীচু ছিল, কিছু বল বাউন্স করেছে। স্পিনাররা টার্ন করাচ্ছিল, আর্ম বল করছিল। উইকেট এক এক সময় এক এক রকম আচরণ করছিল। আমি আমার পরিকল্পনা মেনে চলেছি এবং সোজা ব্যাট নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি এবং ভালো কিছুর আশা করেছি।’ভবিষ্যৎতে ক্রিকেটের ভালো একজন ছাত্র হতে চান উল্লেখ্য করে মায়ার্স বলেছেন, ‘উন্নতি করতে থাকা, খেলাটির ভালো একজন ছাত্র হওয়া। এই ইনিংস থেকে ইতিবাচক বিষয়গুলো পরের টেস্টে নিয়ে যাওয়া।’