My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


১৫০-২০০ রানের মধ্যে আটকানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের

ঢাকা টেস্টের ভাগ্যে কী আছে? চট্টগ্রাম টেস্টের পর সরাসরি এমন মন্তব্য করা বেশ কঠিন! তবে তৃতীয় দিন শেষে উইকেটের যা অবস্থা তাতে করে কঠিন পরিস্থিতিতেই পড়তে হবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। তৃতীয় দিন শেষে ১৫৪ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। এই টেস্টে জিততে হলে চতুর্থ দিন সকালের শুরুটা অন্যরকম করতে হবে স্বাগতিক বোলারদের। দেশের হয়ে দ্রুত একশো উইকেট পাওয়া মিরাজ জানিয়ে গেলেন নিজেদের পরিকল্পনার কথা।

মিরপুরের উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা বরাবরই কঠিন। কতটা কঠিন হতে পারে, শনিবার শেষ বিকালে তাইজুল-মিরাজ-নাঈমের ঘূর্ণি বলগুলোই সেটি বুঝিয়ে দিয়ে গেছে। বাংলাদেশ অবশ্য নিজেদের ইনিংস নিয়ে ভাবার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কতটা অল্প রানে গুটিয়ে দেওয়া যায়, সেটি নিয়েই ভাবছে। সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জানিয়ে গেলেন তাদের লক্ষ্য ১৫০ থেকে ২০০ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষকে অলআউট করা, ‘পঞ্চম দিনে, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং সব সময় কঠিন। আমাদের লক্ষ্য একটাই যত দ্রুত সম্ভব ওদের অলআউট করা। আমি মনে করি আমরা বোলাররা যদি ওদেরকে ১৫০-২০০ রানের মধ্যে অলআউট করে দিতে পারি, তাহলে সুযোগ তৈরি হবে।’

মিরাজরে কথা অনুযায়িই ২০০ রানে অলআউট করলেও স্বাগতিকদের লক্ষ্য দাঁড়াবে ৩১৩ রানের! চতুর্থ উইকেট এমন রান টপকানো শুধু কঠিনই নয়, ভয়ঙ্কর কঠিন । মিরাজ সেটি জানেন বলেই তাকিয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের দিকে, ‘এই উইকেট রান করা কঠিন হবে। হয়তো প্রথম ইনিংসে রান করা সহজ ছিলো। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে কিন্তু সেটি হবে না। আজকেই বল টার্ন করছে, লো হচ্ছে। কাল, পড়শু রান করাটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দলে যে সিনিয়র খেলোয়াড়রা আছে তারা ভালো দায়িত্ব নিতে পারলে সম্ভব হবে।’চট্টগ্রাম টেস্টেও চতুর্থ ইনিংসে ৩৯৫ রানের চেস করে জয়ের রেকর্ড গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রামের টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছে বাংলাদেশ, ‘ক্রিকেট খেলায়া সবই হতে পারে। প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেটা করেছে। আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি ম্যাচটা হেরে যাবো। আমরা ভেবেছি হয় আমরা জিতবো, নয়তো ম্যাচটা ড্র হবে। আশা করি ঢাকাতেও এমন কিছু হবে।’