জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত মার্চে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ওটাই ছিল অধিনায়ক মাশরাফির শেষ ম্যাচ। এরপর করোনার কারনে গত ৮ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে বাংলাদেশ দল। ফলে মাশরাফির স্থলাষিভিক্ত হওয়া তামিম ইকবালকে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়নি। যদিও আনঅফিসিয়ালি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে এবং মুশফিকের ইনজুরিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সেরা এই ওপেনার। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে নানা সময়ে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতাতো আছেই।
গত মার্চের ৮ তারিখে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তামিমের কাঁধে। এরপর যেহেতু কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। ফলে তামিম এখনোই অধিনায়কত্বকে চাপের বলতে নারাজ। এটিতে মিডিয়ার বানানো কথা উল্লেখ্য করে তামিম বলেছেন, ‘আমি তো এখনো সেরকম চাপের ম্যাচই খেলি নাই ভাই। কম্পিটিটিভ ক্রিকেট হতে হবে তো। অধিনায়কত্বের চাপ এটা আসলে তো আপনাদের বানানো। আমি এখনো কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেনি (অধিনায়ক হওয়ার পর)।’
২০১৯ বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা তিনটি ওয়ানডেতে আনঅফিসিয়ালি অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তামিম। ওই তিন ম্যাচের প্রতিটিই হেরেছিল বাংলাদেশ দল। ওই তিন ম্যাচে তামিমের ব্যাট থেকে রান এসেছিল যথাক্রমে ০, ১৯ ও ২। অধিনায়ক তামিমের জন্য অস্বস্তিকর ব্যাপরাই ছিল। গত প্রেসিডেন্টস কাপেও তামিমের অধিনায়কত্বে দল ফাইনাল খেলতে পারেনি। তামিমের পারফরম্যান্সও ছিল সাদামাটা। তামিম অবশ্যই এইসব কিছু মাথাতেই আনছেন না, ‘অধিনায়কত্বের যে জিনিসটা, ওটা নিয়ে আপনাদের অনেকবারই বলেছি আমার ছোট বেলা থেকে কোন স্বপ্ন ছিল না যে আমি বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক হব। আমি চেষ্টা করব আমার দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে পুরণ করার। ভাল হবে, খারাপ হবে সময় বলে দেবে। আমার পরে যে হবে, আমার আগে যে ছিল- সবার ক্ষেত্রেই ভাল অধিনায়ক বা সফল অধিনায়ক পেতে গেলে সময় দিতে হবে। দুই সিরিজে যদি মাইন্ড সেট করে নেন, এটা হচ্ছে না। এটা দলের জন্য ভাল হয় না। কারো জন্যই ভাল না। অন্য ফরম্যাটের জন্যও সময় দিতে হবে।’