চট্টগ্রাম টেস্টে ৩৯৫ রানরে লক্ষ্য দিয়েও হেরেছে বাংলাদেশ দল। সেই হারের ক্ষত শুকাতে ঢাকাতে দ্বিতীয় টেস্টে ভালো করতে উন্মুখ ছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ দিনেই মুমিনুলের দল ম্যাচ হেরেছে ২৩১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে। এমন দুটি হারের পর হুঙ্কার দিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, এভাবে চলতে পারে না।
রবিবার ১৭ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন নাজমুল হাসান। টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের উন্নতি দেখতে চান তিনি। কোন ভাবেই এভাবে চলতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন বোর্ড প্রধান, ‘সমাধান খুবই সহজ, সমাধান হবে। এইভাবে চলতে দেয়া যায় না। আমি আফগানিস্তানের পরে বেশি কিছু বলতে চাইনি। কিন্তু আজকে আপনাদেরকে আমি বললাম হয় এটা পরিবর্তন করতে হবে। অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। যেভাবেই হোক...এভাবে চলতে পারে না।’
টিম ম্যানেজমেন্টের অংশ না হয়েও বোর্ড সভাপতি বরাবরই টিমের সব কিছুতেই অবহিত থাকেন। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারনে এবার টিমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেননি। ঠিক কী পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ খেলেছিলো সেইসব জানতে চাইবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘কী সমস্যা হয়েছে আপনারা সময় আসলে সব জানতে পারবেন। কিন্তু আমাকে আগে জানতে হবে এখানে কি ঘটছে। ওরা কি স্ট্যাটেজি ছিল, কি পরিকল্পনা করেছিল। এই জিনিসিগুলো আগে জানতে হবে। করোনার কারনে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারিনি। একদিন কথা হয়েছিল জুম মিটিংয়ে, কিন্তু পুরো দলের সঙ্গে এটা যথেষ্ট নয়।’
বোর্ড সভাপতি আরও বলেছেন, ‘আমি আকরামকে জিজ্ঞেস করলাম কী পরিকল্পনা ছিলো? নির্বাচকদের কাছে জানতে চাইলাম? কেউই কিছু জানে না। কারণ আমরা তো ওইখানে যেতে পারছি না। এই হলো অবস্থা। হয়েছেটা কি সেটা তো জানতে হবে। জানি না অনেক কিছু্। জানার পরেই আপনারকে জানাব। খুব তাড়াতাড়িই আমরা উদঘাটন করার চেষ্টা করবো, কেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ।’
তামিম, মুশফিক, মুমিনুলদের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ দেখে বিরক্ত বোর্ড প্রধান, ‘খেলোয়াড়দের অ্যাপ্রোচ বলেন, স্ট্রাটেজি বলেন আমার কাছে মনে হয় যে খুবই বাজে। একজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান, বোলারকে বলে দিতে হবে, কিভাবে টেস্ট খেলতে হবে। এগুলো তো বলে দেয়ার কথা না।’