হেসেই চলছে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এইচপির প্রস্তুতি ক্যাম্পে নিজেকে ভালো করেই ঝালাই করে নিচ্ছেন তানজিদ তামিম। ওয়ানডে ফরম্যাটে হওয়ার একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছিলেন ৭৪ রানের ইনিংস। এরপর কুড়ি ওভারের টানা দুই ম্যাচে খেলেছেন ৭৩ ও ৬৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এইচপি দলের প্রস্তুতি ক্যাম্পে আফিফ হোসেনের দলকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তৌহিদ হৃদয়ের দল। ১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের দেখা পায় টিম ‘বি’। এই জয়ে অবশ্য টিম ‘বি’ এর দুই ওপেনার জুনিয়র তামিম ও পারভেজ ইমনের। তামিম ৫১ রানে ৬৬ রান করলেও ইমন টর্নোডো এক ইনিংস খেলে ১৩ বলে তোলেন ৪০ রান।

প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮০ রানে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় টিম ‘এ’। ওপেনিংয়ে নামা নাঈম শেখ ও শাহাদাত হোসেন ৮১ রানের জুটি গড়েন। অবশ্যই কেউই হাফসেঞ্চুরির দেখা পাননি। নাঈম শেখ ৩৬ বলে খেলেন ৪৬ রানের ইনিংস। ৩ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের ব্যাট থেকে। ২৭ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় শাহাদাত নিজের ৪২ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। মিডল অর্ডারে নামা শামীম হোসেনের ১৪ বলে ঝড়ো ৩৪ রানের ইনিংস স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া মৃত্যুঞ্জয় ১৯ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেছেন।

টিম ‘বি’র হয়ে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার রেজাউর রহমান। তৌহিদ হৃদয়ও নিয়েছেন ১৩ রান খরচায় দুই উইকেট। এছাড়া মুকিদুল ও রিশাদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।১৮১ রানের জবাবে খেলতে নেমে দারুন শুরু করে টিম ‘বি’। দুই ওপেনার তামিম ও পারভেজ মিলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন। ১৩ বলে ৪০ রানের টর্নোড ইনিংস খেলে শাহাদাত বিদায় নেওয়ার পর চড়াও হন তামিম। ২ চার ও ৫ ছক্কায় শাহদাত নিজের ৪০ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তামিম ৮৩ রানের জুটি গড়েন। 

এই জুটিই মূলত জয়ের ভীত গড়ে দিয়েছে। আগের দুই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি পাওয়া তামিম ৫১ বলে ৬৬ রান করে থামেন। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় তামিম নিজের ৬৬ রানের ইনিংস সাজিয়েছেন। অন্যদিকে মাহমুদুল ২৬ বলে ৩৪ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টিম ‘এ’। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবরের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৫ রান।টিম ‘এ’র পক্ষে সুমন খান ৪১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। আর ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আফিফ হোসেন ও নোমান।