My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


দেখে নিন আইপিএল ২০২০-র সেরা একাদশ

মরুদেশে আইপিএল যেমন চিনিয়ে দিল নতুন তারকা, তেমনই অনেকে সুবিচার করতে ব্যর্থ তাঁদের নামের। কিন্তু সেরাদের লড়াইয়ে তাঁরাই থাকেন যাঁরা টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভাবে নিজেদের সাফল্য ধরে রাখেন। কারা রইলেন সেই তালিকায়? দেখে নিন আমাদের বেছে নেওয়া আইপিএল ২০২০-র সেরা একাদশ।

শিখর ধওয়ন: পর পর দুই ম্যাচে শতরান করে এ বারের আইপিএলে নতুন রেকর্ড গড়েছেন শিখর। ১৭ ম্যাচে ৬১৮ রান করে দিল্লির তরুণ ব্রিগেডকে পথ দেখিয়েছেন নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে। এই দলের ওপেনার তিনিই।

ডেভিড ওয়ার্নার: হায়দরাবাদ দলকে যে ভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি, তাতে এই দলেও তাঁকেই বেছে নেওয়া হল অধিনায়ক হিসেবে। ১৬ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৫৪৮ রান। শিখরের সঙ্গে তাঁর ব্যাট চলতে শুরু করলে প্রতিপক্ষের বিপদ শুধু সময়ের অপেক্ষা।

লোকেশ রাহুল: কমলা টুপির মালিক ওপেনার হিসেবে আইপিএলে খেললেও এই দলে তাঁকে তিন নম্বরে আসতে হবে। তাঁর মতো পারদর্শী ব্যাটসম্যান যে কোনও জায়গাতেই প্রতিপক্ষের ত্রাস। ১৬ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৬৭০ রান, গড় ৫৫.৮৩। এই দলের উইকেট রক্ষার দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই।

ঈশান কিশান: তরুণ এই ব্যাটসম্যান এ বারের আইপিএলের অন্যতম আবিষ্কার। ১৪ ম্যাচে ৫১৬ রান করে তিনি যে শুধু দলের সর্বাধিক রান করেছেন তা-ই নয়, দলের বিপদে ওপেনার হিসেবে নেমেও ভরসা জুগিয়েছেন। অনেক বেশি পরিণত ঈশানকে চেনালো এ বারের টুর্নামেন্ট।

সূর্যকুমার যাদব: ১৬ ম্যাচে ৪৮০ রান করে মুম্বই দলের প্রাণ ভ্রমরা তিনি। শুরুর দিকে নামলেও ম্যাচ শেষ করে আসাই তাঁর লক্ষ্য থাকে। ৪০ গড় বুঝিয়ে দেয় প্রতি ম্যাচে তিনি কতটা নিয়মিত রান করে গিয়েছেন এই টুর্নামেন্টে। ভারতীয় দলে জায়গা না পেলেও ৩০ পেরনো এই মুম্বইকর কিন্তু দিনে দিনে রান মেশিন হয়ে উঠছেন।

কায়রন পোলার্ড: মুম্বই দলের এই অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে করেছেন ২৬৮ রান। স্ট্রাইক রেট ১৯১.৪২। এ বারের আইপিএলে সর্বাধিক স্ট্রাইক রেট তাঁরই। বল হাতেও নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ফিনিশার হিসেবে এই দলে জায়গা করে নেবেন তিনিই।

হার্দিক পাণ্ড্য: তাঁর চুলের ছাঁট যেমন নজর কেড়েছে, তেমনই নজর কেড়েছে তাঁর ব্যাট। ১৭৮.৯৮ স্ট্রাইক রেট রেখে করেছেন ২৮১ রান। পোলার্ডের পাশে তিনিও ফিনিশার হিসেবে নজর কেড়েছেন বার বার।

যুজবেন্দ্র চহাল: পেসারদের ভিড়ে তিনি যেন এক ব্যতিক্রমই স্পিনার এ বারের আইপিএলে। ১৫ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে এক সময় চলে এসেছিলেন বেগুনি টুপির দৌড়ে। ব্যাঙ্গালোর আরও দুটো ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে তিনিও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে থাকতেন তা বলাই বাহুল্য।

জোফ্রা আর্চার: তাঁর আগুনে পেস সামলাতে হিমশিম খেয়েছে প্রায় সব দলই। রাজস্থান দলের বোলিং বিভাগকে একার কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। ১৪ ম্যাচে নিয়েছেন ২০ উইকেট। গেলের শতরান আটকে দেওয়া সেই ইয়র্কার বহু দিন চোখে ভাসবে ক্রিকেটপ্রেমীদের।

কাগিসো রাবাদা: এ বারের টুর্নামেন্টে পেসারদের যে জয়ধ্বজা উড়েছে তাঁর শীর্ষে রয়েছে তাঁরই নাম। বেগুনি টুপির মালিককে ছাড়া সেরা একাদশ অসম্ভব। নিয়েছেন ১৭ ম্যাচে ৩০ উইকেট। প্রতি ম্যাচে প্রায় নিয়ম করে উইকেট নিয়েছেন তিনি। শুরুতেই বিপক্ষের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছে তাঁর পেস।

যশপ্রীত বুমরা: শেষ দিন অবধি বেগুনি টুপির লড়াইয়ে ছিলেন তিনিও। বুমরা শেষ করলেন ১৫ ম্যাচে ২৭ উইকেট নিয়ে। শুধু উইকেট নেওয়া নয়, ডেথ ওভারে কৃপণ বোলিংও বিপক্ষের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় বার বার।

বরুণ চক্রবর্তী: সেরাদের দলে কলকাতার এক মাত্র সদস্য। প্রথম একাদশে জায়গা না হলেও দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে সেরাদের দলে তিনি জায়গা করে নিতেই পারেন। ১৩ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে ভারতীয় দলেও সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। চোটের জন্য শেষ মুহূর্তে বাদ পড়তে হল তাঁকে।