My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে সংশয়ে ছিলেন পুরান

পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে বাংলাদেশে আসছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিপাক্ষিক এই সিরিজ থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সারির একাধিক ক্রিকেটার। এর মধ্যে আছেন কাইরন পোলার্ড-রস্টন চেজদের মতো ক্রিকেটাররা। আছেন নিকোলাস পুরানও। বৃহস্পতিবার ক্রিকইনফোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি খোলাসা করেছেন বাংলাদেশে না আসার কারণ।

২৯ ডিসেম্বর তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের আলাদা আলাদা স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই)। ওয়ানডে স্কোয়াডের আট জন এবং টেস্ট স্কোয়াডের চার জন ক্রিকেটার রয়েছেন অভিষেকের অপেক্ষায়।

সিরিজ থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন  অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, সহ-অধিনায়ক রস্টন চেজ, শাই হোপ, কাইরন পোলার্ড, শামার ব্রুকস, শেলডন কটরেল, এভিন লুইস ও শিমরন হেটমায়াররা।ব্যাক্তিগত কারণে বাংলাদেশে আসতে চাননি নিকোলস পুরান, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও শেন ডওরিচ।

দ্বিতীয় সারির দল ঘোষণা করায় স্বাভাবিক ভাবেই আসন্ন সিরিজের আকর্ষণে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে। পুরান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে খোলামেলা ধারণা না থাকার কারণেই সফর করতে চাননি। যদিও দল ঘোষণার কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধি দল।

সতীর্থদের নাম সরিয়ে নেয়া দেখেই ঝুঁকি নিতে চাননি পুরান। তবে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পুরান-পোলার্ডদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে। পুরান বলেন, ‘এমন না যে আমার একটা বিরতি দরকার, আসল ব্যাপারটা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি।' 

'একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি আসলে নিশ্চিত ছিলাম না সেখানকার স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি নিয়ে। কিছুটা সংশয় ছিলো। যেহেতু অন্যন্য খেলোয়াড়রাও যাচ্ছে না, তাই আমিও অনুভব করেছি যে আমারও ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ বুঝতে পেরেছে এবং আমাদের সিদ্বান্তকে সম্মান করেছে' আরও যোগ করেন তিনি।

শুধু বাংলদেশের করোনা পরিস্থিতি কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেননি উইন্ডিজ ক্রিকেটাররা। গেল পাঁচ-ছয় মাস ধরে জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভেতরেই জীবনযাপন করতে হয়েছে তাদের। যা বহাল রয়েছে আসন্ন সিরিজেও। 

জৈব সুরক্ষিত পরিবেশের ধকল কাটাতেই আর বাংলাদেশে আসতে চায়নি হোল্ডার-পুরানরা। পুরান বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে বায়ো বাবলের বিভিন্ন বিধি রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া আরব আমিরাতের চেয়ে নিউজিল্যান্ডে আলাদা নিয়ম ছিলো। অস্ট্রেলিয়াতে আমরা ভালো হোটেলে ছিলাম।' 

'নিউজিল্যান্ডে আমাদের বাইরের লোকদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি ছিলো না। যদি আমাদের বাইরের লোকদের সাথে কথা বলার অনুমতি দেওয়া না হয়; তাহলে অন্তত আমাদের অন্য সুযোগ সুবিধা গুলো নিশ্চিত করা উচিত' যোগ করেন এই ক্রিকেটার।

দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখানে এসে ৩দিন হোটেল রুমে থাকার পর নিজেদের মধ্যে অনুশীলন করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। এরপর করোনা নেগেটিভ হয়ে ৭দিন পর মাঠে ফিরতে আর কোনো বাঁধা থাকবে না সফরকারীদের।