My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


মিরাজের চোখে নায়ক শুভ-রাব্বি

বাঁচা-মরার ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। এদিন ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বোলাররা। যেখানে প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছেন স্পিনার সোহরাওয়ার্দী শুভ।

টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ঢাকার ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন। মাত্র তিন ওভার বোলিং করে ১৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া শেষ দিকে এসে দারুণ বোলিং করেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। যে কারণে ঢাকার বিপক্ষে জয়ের নায়ক হিসেবে শুভ-রাব্বিকে দেখছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।

ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, ‘একটা জিনিস দেখেন, আমাদের বোলাররা প্রথম দিকে হয়তো উইকেট নিতে পারেনি কিন্তু শুভ ভাই অনেক ভালো বোলিং করেছে এবং নাইম দারুণ ব্যাটিং করেছে। এজন্য হয়তো ঢাকার ম্যাচটা অনেক ইজি হয়ে গিয়েছিল শেষের দিকে। কিন্তু আমার আত্মবিশ্বাস ছিল শেষে নাইম এবং রাব্বি দুজন যদি আউট হয়ে যায় তাহলে হয়তো ম্যাচটা আমরা সহজেই জিততে পারব। কারণ কি ওরা দুটা সেট ব্যাটসম্যান যখনই বল পাচ্ছে তখনই বাউন্ডারির অপশনটা বেশি ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর বোলাররা খুবই ভালো বোলিং করেছে। শেষের দিকে ১৮ নম্বর ওভারটাও (মূলত ১৯তম ওভার) সুমন খুব ভালো বোলিং করছে আর শেষ ওভার রাব্বি ভাই ভালো বোলিং করছে। আমার কাছে মনে হয় যে শেষের তিনটা ওভার খুবই ভালো বোলিং করছে এজন্য হয়তো আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি।’

ভালো শুরুর পরও মাঝপথে এসে খেই হারিয়ে ফেলেছিল বরিশাল। তবে সেখান থেকে দলকে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং তৌহিদ হৃদয়। ম্যাচ জেতার জন্য তাদের ওই জুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করেন মিরাজ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা বলতে হবে যে আমাদের দলের জন্য অনেক একটা ভালো ছিল যেটা পার্টনারশিপটা আফিফ এবং তৌহিদ হৃদয় এবং আমাদের দলের ভেতরে এই পার্টনারশিপটাই আমাদের দলের একটা ভালো স্কোর দাঁড় করায়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি যে ওরা দুজনে যে পার্টনারশিপটা দিয়েছে ওইটায় জন্যই আমাদের আজকের ম্যাচটা হয়তো আমরা বোলাররা একটা ডিপেন্ডবল রান পেয়েছি যে ১৯৪ রান (মুলত ১৯৩)। আমরা বোলাররা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বল করতে পেরেছি। এরজন্য আমি মনে করি যে ওদের ইনিংসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য।’