আদ্রিয়েন র্যাবিওট ও লুকাস দিগনে ইতালির জার্সিতে ৫০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। এই উপলক্ষ তারা রাঙালেন সম্মিলিতভাবে। তাতে ইতালির মাঠে ৩-১ গোলে জিতে উয়েফা নেশনস লিগের গ্রুপ এ-২ এ টেবিলের শীর্ষে উঠে গেলো ফ্রান্স।
দিগনের বানিয়ে দেওয়া বলে র্যাবিওট দুটি গোল করেন। এছাড়া দিগনের ফ্রি কিক গুগলিয়েমো ভিকারিওর গায়ে লেগে আত্মঘাতী গোল হয়। ইতালির পক্ষে গোল করেন আন্দ্রে কামবিয়াসো।
এই জয়ে ফ্রান্স ছয় ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করলো। গত সেপ্টেম্বরে পার্ক দে প্রিন্সেসে ৩-১ গোলে জেতা ইতালিও সমান পয়েন্ট পেয়েছে, তবে গোলপার্থক্যে তারা পিছিয়ে।
ম্যাচ শেষে ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম বলেছেন, ‘আমাদের স্কোয়াড অল্পবয়সীদের নিয়ে গড়া। আমি দেখতে চাইছিলাম, আমার খেলোয়াড়রা এখানে এমন এক ইতালিয়ান দলের বিপক্ষে জিতবে এবং পারফরম্যান্স করবে যারা পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী।’
কিপার মাইক মাইগনান বলেছেন, ‘আমরা জিততে চেয়েছিলাম, মাঠে নেমেছিলাম প্রতিশোধ নিতে। ঘরের মাঠে তাদের বিপক্ষে হারের পর এটা ছিল মর্যাদার লড়াই।’
গত বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাড়ম্যাড়ে ড্রয়ের পর দেশমের শিষ্যরা নিজেদের ফিরে পেলো। দ্বিতীয় মিনিটে দিগনের কর্নার থেকে জোরালো হেডে পঞ্চম আন্তর্জাতিক গোল করেন র্যাবিওট।
ইতালি খেলার গতি বাড়িয়ে আরেকটি গোল আদায় করে। ৩৩তম মিনিটে ২৭ মিটার দূর থেকে নেওয়া দিগনের বাঁ পায়ের ফ্রি কিক বারে আঘাত করে ভিকারিও।
দুই মিনিট পর ইতালি গোল শোধ করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয়। ফেদেরিকো দিমার্কোর কাটব্যাট থেকে জাল খুঁজে পান কামবিয়াসো।
দর্শকে ঠাসা সান সিরোতে তৃতীয় গোলের জন্য মরিয়া ছিল ফ্রান্স। ৫৯তম মিনিটে ভিকারিওর পরীক্ষা নেন ক্রিস্টোফার এনকুনকু। তার নিচু শট দারুণভাবে সেভ করেন ইতালি কিপার।
দিগনে ও র্যাবিওট মিলে আবার ব্যবধান দুই গোলে বাড়ান। ফরাসি ফুলব্যাকের পিনপয়েন্ট ফ্রি কিক থেকে সাবেক জুভেন্টাস মিডফিল্ডার হেড করে জালে জড়ান বল।
এই জয়ে ফ্রান্স বেশ স্বস্তিতে থাকলো। কারণ শেষ আটে তাদের পর্তুগাল, জার্মানি ও স্পেনকে মোকাবিলা করতে হবে না।
এদিকে ইসরায়েল গ্রুপের একমাত্র জয় পেয়েছে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে।