My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


নাঈমের টর্নেডো ব্যাটিং, তবুও প্লে-অফে তামিমরা

হারলেও অবশ্য প্লে-অফে যেত ফরচুন বরিশাল। তবে সেখানে যদি, কিন্তু ছিল। বরিশাল অবশ্য ঢাকাকে ২ রানে হারিয়ে দিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে গেছে। রান রেটের ব্যবধানে প্লে-অফ থেকে বাদ পড়ে গেছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। শনিবার বরিশালের দেওয়া ১৯৪ রানের জবাবে ঢাকার ইনিংস থামে ১৯১ রানে। এদিন দলকে জেতাতে না পারলেও বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাঈম। আগামী সোমবার এলিমেনেটর ম্যাচে এই দুই দলই লড়বে। যারা জিতবে তারা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়ার দলের সঙ্গে খেলবে।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বরিশাল তিন হাফসেঞ্চুরি ১৯৩ রান সংগ্রহ করে। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা প্রত্যাশা মতো করতে পারেনি ঢাকা। ওপেনার সাব্বির ১১ বলে ১৯ রানে আউট হওয়ার পর দ্রুত ফিরে যান মুশফিক (৫) ও আল আমিন জুনিয়র (০)। ৬২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে খাদের কিনাড়ায় থাকা দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখার নাঈম শেখ ও ইয়াসির আলী। তাদের ৫৯ বলে ১১০ রানের জুটির উপরে ভর করে জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছিল ঢাকা। ৪৯ রানে জীবন পাওয়ার পর ঘুম ভাঙ্গে নাঈমের। মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ মিস করেন ইমন। সুযোগটা বেশ ভালো ভাবেই কাজে লাগান নাঈম। ৪৯ বলে ৫০ রান করা নাঈম দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৭ বল। তাসকিন-সুমন খান-কামরুলদের বেদড়ক পিটিয়ে টনের্ডো নামার মিরপুরের ২২ গজে। সবমিলিয়ে ৬০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৬৪ বলে ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ১০৫ রানে থামেন নাঈম। নাঈমের আউটের পর ঢাকার জয়ের সম্ভাবনা কিছুটা ফিঁকে হয়ে যায়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৭ রানের। কিন্তু কামরুলের দ্বিতীয় বলে মুক্তার আলীর ছক্কায় সম্ভাবনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পারেনি ঢাকা। ২ রানে ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে তারা। আগামী সোমবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে প্রথম এলিমেনেটর ম্যাচ খেলবে বেক্সিমকো ঢাকা।

নাঈমের ১০৫ রান ছাড়াও ইয়াসির খেলেছেন ৪১ রানের দারুন এক ইনিংস। ২৮ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় দীর্ঘদেহী এই ক্রিকেটার নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে সুযোগ পাওয়া সোহরাওয়ার্দী, সুযোগটা দারুন ভাবে কাজে লাগান। ১৩ রান খরচায় তুলে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া সুমন খান ও কামরুল ইসলাম একটি করে উইকেট নিয়েছেন।ঢাকার জয়ে সবচেয়ে বেশি লাভবান জেমকন খুলনা। পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের সঙ্গে আগামী সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলবে খুলনা। জয়ী হওয়া দল সরাসরি ফাইনালে চলে যাবে। অন্য দিকে হেরে যাওয়া দল আরেকটি সুযোগ পাবে। তারা মঙ্গলবার এলিমেনেটর ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে ফাইনাল নিশ্চিত করবে।এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করা বরিশাল শুরুটা দারুন করে। তামিম-সাইফ মিলে দুইজন ৫৯ রানের জুটি গড়েন। বরিশালের অধিনায়ক তামিম ১৭ বলে ১৯ রান করে আল আমিনের শিকার হন। এরপর তিন নম্বরে নামা ইমনও (১৩) দ্রুত বিদায় নেন। তৃতীয় উইকেটে আফিফকে সঙ্গে নিয়ে সাইফ দলীয় স্কোর ১০০ নিয়ে যান। টুর্নামেন্টের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে অবশ্য বিদায় নেন সাইফ। ৪৩ বলে ৮ চারে সাইফ নিজের ৫০ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।এরপর মিরপুরের ২২ গজে শুরু হয় আফিফ-তৌহিদ ঝড়। আফিফ ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে তৌহিদ ২২ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এই দুইজনের অবিচ্ছিন্ন ৯১ রানের জুটিতে বরিশাল ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে।রুবেলে হোসেন ও আল আমিন জুনিয়র একটি করে উইকেট নিয়েছেন।