My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো ভারত

৮২ বলে ৭৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে অ্যারন ফিঞ্চ বিদায় নেয়ার পর মনে হচ্ছিল খুব সহজেই হেরে যাবে অস্ট্রেলিয়া। তবে হারের শঙ্কায় থাকা অজিদের জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের ৩৮ বল ৫৯ রানে ইনিংসের উপর ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখলেও শেষ পর্যন্ত তা কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে।

জয়ের জন্য ৩০৩ রানের লক্ষ্য দেখে মনে হচ্ছিলো খুব সহজেই জিতে যাবে অস্ট্রেলিয়া। ক্যানবেরার পরিসংখ্যানও অবশ্য সেই কথা বলছিল। কারণ এখানে খেলা সর্বশেষ চার ম্যাচের চারটিতে ৩৫০ এর অধিক রান করেছে আগে ব্যাট করা দল। তাই ৩০৩ রানের লক্ষ্যটা পরিসংখ্যানে খুবই কম ছিল।

যদিও সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ২৫ রানে মার্নাশ ল্যাবুশেনকে হারানোর পর হারিয়ে বসে স্টিভেন স্মিথকেও। টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা স্মিথ এদিন অবশ্য ফিরে গেছেন মাত্র ৭ রানে। এক প্রান্তে অধিনায়ক ফিঞ্চ আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।

ময়সেস হেনরিকস ২২ রান করে ফিরে যাওয়ার পর সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি অভিষিক্ত ক্যামেরন গ্রিন। ২৭ বলে ২১ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন গ্রিন। আর ফিঞ্চ ফিরে গেছেন ৭৫ রান করে। এরপর ম্যাক্সওয়েলের ৫৯, অ্যালেক্স ক্যারির ৩৮ এবং অ্যাস্টন অ্যাগারের ২৮ কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছ।

ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ পেলেও সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি অজিরা। তাতে চলতি বছরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর আরও একবার এমন লজ্জার মুখে পড়তে যাচ্ছিলো তারা।

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের বদলি হিসেবে নামা শুভমান গিলও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। যদিও ৩৯ বলে ৩৩ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ম্যাচের মতো এদিনও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।

এরপর কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ার দলকে এগিয়ে নিতে থাকলেও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেননি আইয়ার। আর দ্বিতীয় ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরি করে ফিরে গেছেন বিরাট কোহলি। এদিন অবশ্য শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ১২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি।

আরও একবার ব্যাটিং ব্যর্থতার চিত্র ফুটে উঠতে ধরলেও সেখান থেকে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাদেজা। ১৫০ রানের অনবদ্য জুটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩০২ রান তুলে ভারত। ৭৬ বলে ৯২ রান করে অপরাজিত ছিলেন পান্ডিয়া আর ৫০ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন জাদেজা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৩০২/৫ (ওভার ৫০); (হার্দিক পান্ডিয়া ৯২*, রবীন্দ্র জাদেজা ৬৬*, বিরাট কোহলি ৬৩, অ্যাস্টন অ্যাগার ২/৪৪)
অস্ট্রেলিয়া: ২৮৯/১০ (ওভার ৪৯.৩); (অ্যারন ফিঞ্চ ৭৫, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৫৯, শার্দুল ঠাকুর ৩/৫১)