ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম টেস্টেই ছিটকে গেছেন সাকিব আল হাসান। ফলে সাকিবকে ছাড়াই ঢাকা টেস্টে মাঠে নামতে হয়েছে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে। দুই টেস্টেই সাকিববিহীন বাংলাদেশ দলকে কোনঠাসা করেছে ক্যারিবীয়রা। রবিবার ঢাকা টেস্টে ২৩১ রান তাড়া করেও জিততে পারেনি মুমিনুলের দল। এর আগে চট্টগ্রামে ৩৯৫ রানের টার্গেট দিয়েও ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের থামাতে পারেননি নাঈম-মিরাজ-তাইজুলরা। সতীর্থদের এমন হার কাম্য নয় বলে উল্লেখ্য করেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
এনজিও ফ্রেন্ডশিপ সোমবার সকালে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। ‘ফ্রেন্ডশিপ এন্ড হিরোস ক্যাম্পেইন উইথ সাকিব আল হাসান’ এই ব্যানারে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। সেখানেই তিনি হার নিয়ে মন্তব্য করেন, ‘আজকে ভেবেছি ক্রিকেট নিয়ে কথা বলবো না। তবু বলতে হচ্ছে….। হার কাম্য নয়। তবে শুধু ক্রিকেটে নয় সকল খেলাধুলাতে হার-জিত থাকবে। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। আর আমাদের উন্নতি যে হয়নি সেটিও না। সবকিছুতেই উন্নতি হয়েছে।’
সাকিব উন্নতির কথা বললেও মুমিনুল জানালেন টেস্ট ক্রিকেটের দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও সত্যিকার অর্থে কোন উন্নতি হয়নি, ‘আসলেই ২০ বছর হয়ে গেছে। তবে আমার মনে হয় ওইভাবে কোনো উন্নতিই হয়নি। আর উন্নতির শেষ নেই। আমাদের অনেক উন্নতি করার আছে। যেগুলো করতে পারলে হয়তো আমরা দেশে ও দেশের বাইরে ম্যাচ জিততে পারব। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের উন্নতির সুযোগ থাকে। আমরা যতদিন খেলব, যতদিন বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করব, ততদিন উন্নতি করতে হবে।’
এদিকে পিতৃত্বকালীন ছুটির জন্য নিউজিল্যান্ড সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সাকিব। নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঢাকা ছাড়বে ২০ ফেব্রুয়ারি। সফরটি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে পেছানো হয়েছে এক সপ্তাহ। যেটি এখন শুরু হবে ২০ মার্চ। নতুন সূচিতে ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ২০, ২৩ ও ২৬ মার্চ। ভেন্যু যথাক্রমে ডানেডিন, ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটন। এর পরই হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম ম্যাচ হবে ২৮ মার্চ। পরের দুটি ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল। ভেন্যুগুলো হচ্ছে হ্যামিল্টন, নেপিয়ার ও অকল্যান্ড।