করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মনে ভয় ছিলো। একটু একটু করে সেই ভয় কেটে যাচ্ছে। জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ভয় ছিলো। এমন কী বাংলাদেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালেরও করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে কিছুটা ভয় ছিলো। তবে শেষ পর্যন্ত নিজে ভ্যাকসিন নেওয়ার দিনে অন্যদের ভ্যাকসিন নেওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সকালে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিনেট করার এই কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে সবার আগে টিকা নিয়েছেন সৌম্য সরকার। এরপর নিয়েছেন তামিম ইকবাল। ভ্যাকসিন নেওয়া শেষে তামিম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘দেখেন ভয় অবশ্যই ছিল, এটা অস্বীকার করব না। সবার মনেই থাকতে পারে। জিনিসটা সম্পর্কে ধারনা থাকলেও সুবিধা হয়। আমরা ভাগ্যবান যে আমরা ভ্যাকসিন পেয়েছি। আপনারা যদি ভ্যাকসিন নিয়ে জানাতে পারেন, সবাই ভ্যাকসিন সম্পর্কে ধারনা পেয়ে নিতে আসবে। তাতে করে সবার মধ্যেই ভয় জিনিসটা সবারই কমে যাবে। আমিও ভীত ছিলাম। যখন প্রথম অ্যাপ্রোচ হয়েছিল, তখন আমিও সিওর ছিলাম না নিবো কি নেবো না। কিন্তু বিসিবির বিভিন্নজন বুজিয়েছে, তখন নিশ্চিত হয়ে নিয়ে নিলাম। আশা করি সবাই ভয়-ডরহীন ভাবে ভ্যাকনিস নিবেন।’
সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে তামিম বলেছেন, ‘ আমার কাছে মনে হয় যে এই পুরা জিনিসটাই যেভাবে বাংলাদেশ সরকার করছে এটা আসলে উৎসাহিত করার মতোই। আসলে আমরা বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কথাগুলো সবসময় তুলে ধরি কিন্তু এই একটা জিনিস আমার কাছে মনে হয় যে ইতিবাচক জিনিসটা আমাদের শেয়ার করা উচিত।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিয়ে তামিম আরও বলেছেন, ‘যারা এটা মধ্যে সম্পৃক্ত আছেন তাদেরকে আমি আমার তরফ থেকে স্যালুট দেবো। এটি দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। শুধু আমার জন্য নয়, আমার যারা বন্ধু-বান্ধব আছে, পরিবারের সদস্য যারা নিজে থেকে নিবন্ধন করে গেছে এবং নিয়েছে তাদেরও পুরা প্রক্রিয়াটা খুবই ভালো। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারাই সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। বিশেষ করে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। তিনি আমাদের সবরা জন্য দারুন এই উদ্যোগ নিয়েছেন। উনাকে অনেক ধন্যবাদ।’