করোনার দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় ক্রিকেটাররা। সিলেটে এক মাসের ক্যাম্প শেষে এখন মিরপুরে চলছে দুই সপ্তাহের ক্যাম্প। ১ মার্চ শেষ হবে ৩২ ক্রিকেটারের অনুশীলন পর্ব। ৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশ গেমসে অংশ নেবে মেয়েদের তিনটি দল। সিলেটে প্রতিটি দল পাবে দুটি করে ম্যাচ। ওয়ানডে বাছাইয়ের প্রস্তুতির জন্য ঘরোয়া ইভেন্টটি হবে ৫০ ওভারের প্রতিযোগিতা।

সামনে বাংলাদেশ গেমসের হলেও জাহানারাদের আসল প্রস্তুতি দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে সিরিজ নিয়ে। মার্চেই বাংলাদেশ সফরে আসার কথা দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের। সফরের প্রস্তুতি নিয়ে দারুন খুশি জাহানারা। সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছি দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখে। সিলেটে একটা ক্যাম্প করেছি আমরা।

যেহেতু পুরো গ্রাউন্ড ব্যবহারের সুযোগ ছিল আমাদের, ইনডোর থেকে সেন্টার উইকেট। ওখানে ১০ টার মত ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলেছি। সবমিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতিটা খুবই ভালো হয়েছে।’শুধু স্কিলই নয়, নিজেদের ফিটনেসেও সন্তুষ্ট জাহানারারা, ‘আমার মনে হয় ট্রেনার খুশি হবে যে আমরা মোটামুটি অ্যাভারেজ একটা ফিটনেসে আছি। কিছু প্লেয়ারের ফিটনেস আরও ভালো হয়েছে, উন্নতি হয়েছে। তো অ্যাভারেজ দেখতে গেলে মোটামুটি ভালো পজিশনেই আছি, আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য ফিট।’

সিলেট ও ঢাকাতে ক্যাম্প চললেও খন্ডকালীন কোচ দিয়েই পরিচালনা করা হচ্ছে মেয়েদের ক্যাম্প। কোচের অভাব পূরণ করতে নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলামই পেস বোলিং কোচের ভূমিকাতে নেমে গেলেন, ‘সিলেটে নির্বাচক মঞ্জু ভাই কাজ করেছেন, উনি একজন পেস বোলার ছিলেন। উনি আমাদের পেস বোলারদের নিয়ে আলাদা করে কাজ করেছেন। এখানে আসার পর ব্যাটিং কোচ আছেন শাহনু স্যার, স্পিন কোচ ওয়াহিদ গনি স্যার আছেন। সুতরাং বলা যায় আমরা মোটামুটি পরিকল্পনা মোতাবেক ভালোই চলছে।’