My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


একাদশে কেন এক পেসার, জানতে চান বিসিবি সভাপতি

মোস্তাফিজুর রহমান, আবু জায়েদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও এবাদত হোসনে-এই ৫ পেসারকে নিয়ে টেস্ট স্কোয়াড গঠন করেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু দুই টেস্টেই টিম ম্যানেজমেন্টকে দেখা গেছে একজন করে পেসারকে খেলাতে। চট্টগ্রামে মোস্তাফিজ খেললেও ঢাকাতে বিশেষজ্ঞ পেসার ছিলেন কেবল আবু জায়েদ রাহী। যদিও পার্ট টাইম স্পিনার হিসেবে ছিলেন সৌম্য সরকার। দুটি টেস্টেই কেন বিশেষজ্ঞ একজন করে পেসার নেওয়া হলো, টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে সেই কারন জানতে চাইবেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান।

চট্টগ্রাম ও ঢাকাতে পেসাররা সাফল্য পেয়েছেন। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়েছেন দুই টেস্ট খেলা দুই পেসার। বিশেষ করে ঢাকাতে আবু জায়েদ দুই ইনিংসের ভালো বোলিং করেছেন। তার বোলিংয়ের পর স্বাভাবিক ভাবেই একজন বাড়তি পেসারের অভাব অনুভব করেছে অধিনায়ক মুমিনুল। যা বোর্ড সভাপতি কণ্ঠেও উঠে এলো, ‘স্কোয়াডে তো পাঁচটা পেসার ছিল। কেন খেলছে না? চিটাগংয়ে খেলার কথা ছিল খেলেনি। এখানেও অন্তত দুইজন খেলবে আমাকে কনফার্ম করেছিল। কিন্তু খেলানো হয়নি। আমাকে তো বলা হচ্ছে খেলবে। পরে তো দেখি নামছে না। ক্যাপ্টেন আর কোচ (ডিসিশন মেকার)। আমি জানতে চাইতো কেন একজন পেসার খেলানো হলো। শুধু অধিনায়ক কিংবা কোচের কাছেই নয়, সবার কাছে জানতে চাইবো।’

চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টার্নিং উইকেট বানিয়ে ফায়দা নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। উল্টো নিজেদের বানানো ফাঁদেই পা দিয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। এবারো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম ও ঢাকাতে একই পরিণতি হয়েছে। টানা তিনটি ম্যাচে স্পিন নির্ভর উইকেটে ব্যাটসম্যানদের এমন দূর্গতি দেখে বোর্ড প্রধান হতাশ, ‘দুইটা টেস্ট (আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ) সিরিজ দেখে বুঝেছি সমস্যা আছেই। একটা দেখে কিছু বলতে পারিনি তেমন। আমার কাছে মনে হয়েছে , আমাদের পুরো পরিকল্পনা (স্পিনিং উইকেট) বদলানো দরকার। একটা ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ নাই যে, আমাদের স্পিনারদের চেয়ে পেসারদের মান অনেক ভালো।’

বোর্ড প্রধান আরও যোগ করে বলেছেন, ‘হাতে গোনা কয়টা স্পিনার আছে আমাদের। সাকিবকে আপনি বাদ দেন। এ ছাড়া স্পিনার হিসেবে দুই/তিন জন আছে। কিন্তু আমাদের অনেকগুলো ভালো পেসার আছে। যদিও চেঞ্জ আনা হয়, খেলানো হয় না।’ঘরের মাঠে তিনটি টেস্টে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর ভবিষ্যতে স্পিনিং নির্ভর উইকেট খেলানো নিয়ে নতুন করে ভাববে বিসিবি, ‘একটা জিনিসি হঠাৎ করে দেখছি আফগানিস্তান সিরিজ থেকে শুরু হয়েছে স্পিন উইকেট, স্পিন উইকেট, স্পিন উইকেট। আমাদের একটা সময় ছিল স্পিনে আমরা মোটামুটি ভালো ছিলাম। কারণ আমাদের পেস ভালো ছিল না। আমাদের পেস বোলার ছিল না এবং গত তিনটা বছর ধরে আমরা ধারাবাহিকভাবে ভাবছি কিভাবে পেস বান্ধব উইকেট বানানো যায় সেই চেষ্টা করেছি।’

বোর্ড প্রধানের একটাই প্রশ্ন? পেসার না খেলানোর পরিকল্পনা থাকলে স্কোয়াডে কেন ৫ পেসার, ‘আমাদের এখন অনেকগুলা পেসার রয়েছে। এতগুলো পেসার থাকতে আমি পেসার খেলাবো না! ৫ জনকে নিয়ে এখানে অলরাউন্ডারের জায়গাটা বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও আমরা খেলাচ্ছি না। এটাকে যদি আপনি দল নির্বাচন বলেন, তাহলে আমার কিছু বলার নেই।’