অপ্রতিরোধ্য চট্টগ্রামকে থামালো ঢাকা। টানা চার ম্যাচ জিতে পয়েণ্ট টেবিলের শীর্ষে পৌঁছেছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। অবশেষে তাদের থামালো বেক্সিমকো ঢাকা। যদিও প্রথম লেগে মুশফিকের দল ১০ রানে হেরেছিল চট্টগ্রামের বিপক্ষে। রবিবার ঢাকার দেওয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ২০ ওভারে ১৩৮ রানে থামতে হয়েছে মিঠুনদের। ৭ রানের দূর্দান্ত জয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল মুশফিকের দল।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ঢাকা ১৪৫ রানের সাদামাটা সংগ্রহ পায়। সহজ লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ওপেনিং জুটি শুরুতেই হোঁচট খায়। তারপরও লিটন ও মাহমুদুল জয় জুটি ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তারা দুইজন মিলে ৪৭ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুরুর কিছু ম্যাচ টুর্নামেন্টের বাইরে চলে যাওয়া মাহমুদুল প্রথম ম্যাচ নেমেই খেলেছেন ২৬ রানের ইনিংস। ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় যব বিশ্বকাপজয়ী এই ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ইনিংসটি সাজিয়েছেন।
এরপর মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের দিকেই ছুটে যাচ্ছিলেন লিটন। তৃতীয় উইকেটে দুইজন মিলে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। হুট করেই শট থার্ডম্যানে দাঁড়ানো শফিকুল ইসলামের দূর্দান্ত এক ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন লিটন। ৩৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় লিটন ৪৭ রান করেছেন। লিটনের আউটের পর মোসাদ্দেক (১৩) , মিঠুন (২১), শামসুরের(১০) চেষ্টা বিপলে যায়। শেষ ওভারে মোস্তাফিজর ছক্কায় ম্যাচ জমে উঠেছিল। কিন্তু পারেনি মোস্তাফিজ-নাহিদুলরা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রানে থামতে হয় পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ ক্রিকেট খেলা চট্টগ্রামকে।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে মুক্তার আলী ৩৯ রানে তিন উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। এছাড়া রুবেল ২৪ রানে দুটি, রবিউল ইসলাম ২৩ রান দুই উইকেট নিয়েছেন। শফিকুল ইসলাম নিয়েছেন একটি উইকেট।টসে হেরে আগে ব্যাটিং করা ঢাকা যথারীতি ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। ২৩ রানে টপ অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে বিপদে পড়ে ঢাকা। সেই বিপদ থেকে দলকে রক্ষা করেন মুশফিক-ইয়াসরি জুটি। চতুর্থ উইকেটে দুইজন মিলে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। ইয়াসির ৩৪ রানে আউট হলেও অপরপ্রান্তে উইকেট আকড়ে ব্যাটিং করেন মুশফিক। ৩৮ বলে ৩ চারে ইয়াসির নিজের ইনিংসিট সাজিয়েছেন।
অধিনায়ক মুশফিক পেয়েছেন টুর্নামেন্টের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। রবিবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বাহারি শট শটে মুশফিক খেলেছেন অপরাজিত ৭৩ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। ৫০ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাজিয়েছেন এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান নিজের ইনিংসটি। অন্যপ্রান্তে আকবর আলী ৯ বলে ১০ রান করেন অপরাজিত থাকেন। তবে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠলেও স্কোরবোর্ডে এর প্রভাব ঠিকই থেকে যায়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মুশফিকের ঢাকার সংগ্রহ ১৪৫ রান।গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে দলের সেরা বোলার নাহিদুল ১৬ রান খরচায় নেন একটি উইকেট। এছাড়া শরিফুল, রাকিবুল ও মোস্তাফিজ নেন একটি করে উইকেট।