ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংসের ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দুই ইনিংসেই দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ব্যাটসম্যানরা। পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে বোলারদের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে ৪০৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় সফরকারীরা। তারপরও উইকেটের ধরণ অনুযায়ি ২৩১ রানের লক্ষ্য এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ঠিক কী কারনে ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেন, সেটি জানেন না অধিনায়ক মুমিনুল।
রবিবার ১৭ রানে ম্যাচ হেরে সংবাদ মাধ্যমকে মুমিনুল বলেছেন, ‘যেই রানটা ছিল সেটি তাড়া করা যেত। টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডারে ভেঙ্গে পড়ার কারণে রান তাড়া করতে পারেনি। প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ইনিংস বলেন। তবে এই ব্যর্থতার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। হয়তো আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।’তবে কী ব্যাটিং করা কঠিন ছিল? সেখানেও না বললেন মুমিনুল, ‘না পুরো চারদিনই ব্যাটিং খুব কঠিন মনে হয়নি। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু কঠিন উইকেট থাকলে সেটি মানিয়ে নিতে হবে। খুব বেশি বাউন্সও ছিল না। কর্নওয়েল কিছু বাউন্স পেয়েছে তাঁর উচ্চতার জন্য। আমাদের মানিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। সেটা আমরা করতে পারেনি। যার কারণে দ্বিতীয় টেস্টটা হাত থেকে চলে গেছে।’
২৩১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঠিক পথেই ছিল বাংলাদেশ। তামিম-সৌম্য জুটি মিলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে। এরপর থেকেই ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০৯ রানই আসলে পিছিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। মুমিনুল বলেছেন, ‘এই ম্যাচটি হার, অবিশ্বাস্য নয়। প্রথম ইনিংসেই কিন্তু ওরা এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তামিম ভাই, সৌম্য যেভাবে শুরু করেছিল, তখন মনে হয়েছিল আমরা খেলায় ছিলাম। হঠাৎ দুই-তিনটা উইকেট পড়ে যাওয়াতে আমরা একটু পিছিয়ে পড়ি। শেষের দিকে মিরাজ খুব ভালো ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা পারিনি।’