My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


সতীর্থ ২২ গজে লড়ছেন, মাহমুদউল্লাহ একাডেমিতে

মুশফিক-মুমিনুলরা মিরপুরের ২২ গজে লড়ছেন। অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ ফেরার লড়াইয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মিরপুরের একাডেমিতে একা একা নিরিবিচ্ছন্ন অনুশীলন করছেন মাহমুদউল্লাহ। সামনেই নিউজিল্যান্ড সফর, সেখানে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলতে হবে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ককে। পাশাপাশি টেস্টে ফেরার মিশনতো আছেই!

বৃহস্পতিবার দুপুরে একাডেমির ডানপাশের উইকেটে একজন থ্রোয়ারের সঙ্গে কিছুক্ষণ নক করেছেন মাহমুদউল্লাহ। পাশাপাশি জিমেও সময় কাটিয়েছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।গত বছর মার্চের বিসিবি ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি ঠিক করে। ওই চুক্তিতে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। স্বাভাবিক ভাবেই জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজেও এই ফরম্যাটে উপেক্ষিত ছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। পুরো ক্যারিয়ারে এর আগে একবার মাত্র দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে তাকে ছাড়াই দেশ ছেড়েছিল মুশফিকরা। এর পর মাঝে বেশ কিছু ইনিংস খেলে সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।

২০১৮ সালের নভেম্বরে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই প্রায় ৯ বছর পর টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান মাহমুদউল্লাহ। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই সিরিজে সেঞ্চুরি করে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ভূমিকার কথা জানান দেন। ঢাকায় ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১৩৬ রানের আত্মবিশ্বাস নিয়ে যান নিউজিল্যান্ড সফরে। হ্যামিল্টনে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৬ রানের পর ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৬৭।কিন্তু সর্বশেষ চার টেস্টে কোনও ফিফটি নেই মাহমুদউল্লাহর। এই ৮ ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৩৯, কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে। রাওয়ালপিন্ডিতে নাসিম শাহর হ্যাটট্রিক বলের সামনে যেভাবে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন, তা রীতিমতো দৃষ্টিকটু। এরপরই গত মার্চে বিসিবি লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম কেটে দেয় মাহমুদউল্লাহর।

যদিও মাহমুদউল্লাহর সামনে সুযোগ আছে টেস্টে ফেরার। প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো সংবাদ মাধ্যমকে এমনাটাই জানিয়েছিলেন, ‘ তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং টেস্ট দলে ফেরার লড়াইয়ের চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত তারই। আমি যা দেখেছি, মহামারীর এই সময়ে সে কঠোর পরিশ্রম করেছে, ৫-৬ কেজি ওজন ঝরিয়েছে। খুব ভালো ট্রেনিং করছে, খুব ভালো ব্যাটিং করছে। সে যেভাবে কাজ করছে, সেটির প্রতি আমার সম্মান আছে দারুণ। দলে ফিরতে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, যা সে করছে। দলে ফিরতে তাকে দারুণ কিছু পারফরম্যান্সও দেখাতে হবে। কোনো ক্রিকেটারকে কখনোই বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া যায় না।’এদিকে মাহমুদউল্লাহও টেস্টে ফিরতে মরিয়া। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এখনও নিশ্চিত নই টেস্টে ফিরতে পারবো কিনা। আমি শুধু এটুকু বলব, আমি চেষ্টা করব যেন লড়াই করে নিজের জায়গাটা নিতে পারি। কারণ পারফরম্যান্সই সবকিছু।’