My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


ম্যাচ হেরে প্লে-অফ খেলার শঙ্কায় রাজশাহী

তরুণ দল নিয়ে টুর্নামেন্টটা দারুন শুরু করেছিল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। টানা দুই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যাওয়া রাজশাহীর ভাগ্য এখনো সুতোয় ঝুলছে। প্লে-অফ খেলতে বরিশালের হার প্রার্থনা করা ছাড়া কোন কিছু করার নেই নাজমুলের দলের। শনিবার উড়তে থাকা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৩৭ রানে ম্যাচ হেরে সমীকরণটা কঠিন করে তোলেছে রাজশাহী। অথচ জিতলে তারা চলে যেত প্লে-অফে।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে সৌম্য-লিটনের ব্যাটে ১৭৫ রানের দারুন সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। জবাবে খেলতে নেমে নাহিদুলের ঘূর্ণির কাছে পরাস্ত হতে হয় রাজশাহীকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানে আটকে যায় নাজমুলের দল। ম্যাচ জিততে যেমন শুরুর প্রয়োজন ছিল, তেমনটা করতে পারেনি রাজশাহী। দলীয় ২৩ রানে দলের দুই ওপেনার বিদায় নিয়ে চাপে পড়ে রাজশাহী। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন আজ ১১ রানে বিদায় নেন। সঙ্গীকে হারিয়ে ফিরে যান আনিসুল ইসলাম (৫)। তৃতীয় উইকেটে রনি তালুকদার ও ফজলে মাহমুদ মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা চালান। কিন্তু নাহিদুলের তোপে রনি ১৪ বলে ১৬ রান তুলে ফিরে যান। এরপর সোহানকে নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যান ফজলে মাহমুদ। ২ চারে ২০ বলে ১৯ রান করা ফজলে মাহমদু আরেক স্পিনার রাকিবুলের শিকারে পরিণত হয়ে বিদায় নিলে হারের শঙ্কা জেগে উঠে রাজশাহী শিবিরে।

পঞ্চম উইকেটে মেহেদী ও নুরুল হাসান মিলে ৩৪ রানের জুটি গড়ে শেষ চেষ্টা চালান। কিন্তু শরিফুলের বলে ডিপ এক্সটা কভারে নাহিদুলের দারুন ক্যাচে ১৭ বলে ২৬ রানের দারুন এক ইনিংসের মৃত্যু ঘটিয়ে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী। এরপর দ্রুত সাইফউদ্দিন (৯), সোহান (২৮) ফেরান শরিফুল-মোস্তাফিজ। ২৮ বলে ২ চারে সোহান নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। তাদের বিদায়েপর পর রাজশাহীর হার সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস।চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে ১৯ রান খরচায় নাহিদুল নিয়েছেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। জিয়াউর রহমান ১৭ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট। এছাড়া শরিফুল, রাকিবুল ও মোস্তাফিজ নিয়েছেন একটি করে উইকেট। 

এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুন শুরু পায় চট্টগ্রাম। সৌম্য-লিটনের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে বিনা উইকেটে ১২২ রান স্কোরবোর্ডে জমা হয়। ৪৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় সৌম্য ৬৩ রানের ইনিংস খেলে আনিসুলের শিকার হন। আগের ম্যাচে বিশ্রাম পাওয়া লিটন ততোক্ষণে টুর্নামেন্টের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। সৌম্যর বিদায়ের পরের ওভারেই রেজাউলের বলে বোল্ড হন লিটন। তার আগে ৫ চার ও ১ ছক্কায় খেলেছেন ৫৫ রানের ইনিংস। লিটনের বিদায়ের পর দ্রুত বিদায় নেন অধিনায়ক মিঠুন (২)। আগের ম্যাচের নায়ক শামসুর রহমান আজ ছিলেন ভয়ঙ্কর। ১৮ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩০ রানের ইনিংস খেলে দলের স্কোরকে সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখেন শামসুর। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৫।রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে আনিসুল ইসলাম ২১ রানে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া রেজাউল ও সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।