My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


সাকিব-তাইজুলদের সামাল দিতে ব্ল্যাকউডের মানসিক প্রস্তুতি

ঘরের মাঠে খেলা মানেই স্পিন নির্ভর উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করবে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে বরাবরই প্রতিরোধ্য সাকিব আল হাসান-তাইজুল ইসলামরা। তবে তাঁদেরকে সামাল দিতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান মনে করে, এখানে কৌশলগতভাবে খুব বেশি পরিবর্তন আসবে না তাই স্পিন সামলানোর মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

করোনাকালীন নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে ক্যারিবিয়ানরা। এই দুই সফরেই ভুগতে হয়েছে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের। তবে উল্টো চিত্র দেখা গেছে ব্ল্যাকউডের ক্ষেত্রে। জেমস অ্যান্ডারসন ও টিম সাউদিদের অনায়াসে খেলার পাশাপাশি দুই সিরিজে দলের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি।

গেল পাঁচ টেস্টে ১ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফ সেঞ্চুরিতে ৪২৭ রান করেছিলেন তিনি। যেখানে তাঁর গড় ছিল ৪২.৭০। সাম্প্রতিক সময়ের এমন পারফরম্যান্স আশা জোগাচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো করতে। দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা না থাকায় ব্যাটিংয়ে মূল দায়িত্ব এখন তাঁরই কাঁধে। এখানে ভালো করতে হলে বাংলাদেশের স্পিনারদের টেক্কা দিতে হবে তাঁকে। যে কারণে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ব্ল্যাকউড বলেন, ‘এই ধরনের পিচ খুব মন্থর হয়। আমাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে, কারণ কৌশলগত দিকে হয়তো এখানে আমি খুব বেশি কিছু করতে পারব না। আমি জানি এটা খুবই মন্থর হবে এবং এখানে স্পিন খুব ধরবে। আমি একবার মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে যেতে পারলেই ভালো করতে পারব। শুধু নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে, তারপর সবকিছু তার নিয়মে চলতে থাকবে।’

ওয়ানডে সিরিজে না খেললেও সফরের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে থাকায় অনুশীলনের সুযোগও হয়েছে নিয়মিতই। এই সময়টায় নেটে প্রচুর ব্যাটিং করা ব্ল্যাকউড প্রহর গুনছেন মাঠে নামার। অনুশীলনে ঘাম ঝরানোর পর সেটা মূল ম্যাচে বাস্তবায়ন করতে চান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি নেটে খুব ব্যাটিং করেছি এবং তাকিয়ে আছি ম্যাচেও সেটা বাস্তবায়ন করার দিকে। ম্যাচ খেলতে নামার জন্য আমার তর সইছে না। আমি বেশ অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশে অবস্থান করছি এবং আমি শুধু খেলতে নামতে চাই। গত দুই সিরিজে আমি রান করেছি। সেই লক্ষ্য ধরেই এগোতে চাই এবং দলের জন্য কিছু ম্যাচ জিততে চাই। আমার মনে হয় আমাদের দলটা ভালো এবং জয়ের ক্ষুধা আছে। আমার পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আছে।’