রিয়াল মাদ্রিদে পা রেখে ফুটবল ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পে দারুণ কিছু করে দেখাতে পারলেন না। ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের প্রথম এল ক্লাসিকোতে গোল উৎসব করলো বার্সেলোনা। রবার্ট লেভানডোভস্কি দুইবার জাল কাঁপিয়ে এমবাপ্পের ক্লাসিকো অভিষেক হতাশার চাদরে মুড়িয়ে দিলেন। শনিবার ৪-০ গোলে রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তিন মিনিটে দুই গোল করেন লেভানডোভস্কি। ৫৪তম মিনিটে তরুণ সতীর্থ মার্ক কাসাদোর দারুণ পাস থেকে পোলিশ স্ট্রাইকার জাল কাঁপান। তিন মিনিট পর হেডে দ্বিতীয় গোল করে বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে পিনপতন নীরবতা এনে দেন। এই মৌসুমে ১৬ ও ১৭ নম্বর গোল করার পর তার হ্যাটট্রিকের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট।
৭৭তম মিনিটে লামিনে ইয়ামাল স্কোর ৩-০ করেন। ১৭ বছর বয়সী তারকা আড়াআড়ি শটে গোলকিপার আন্দ্রি লুনিনকে পরাস্ত করে ক্লাসিকোর সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হন। এরপর রাফিনহা যোগ দেন বার্সার গোল উৎসবে। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে রিয়াল, সেই সুযোগে বল পেয়ে সহজেই ৮৪তম মিনিটে লুনিনের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
সাদা জার্সিতে বার্সেলোনার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হতাশায় শেষ করে করলেন এমবাপ্পে। বার্সার গোছানো রক্ষণভাগের কারণে বারবার অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন তিনি, প্রথম আধঘণ্টায় পাঁচবার। ২-০ গোলে পেছনে পড়ার পর কাতালান ক্লাবের গোলকিপার ইনাকি পেনাকে একা পেয়েও ব্যবধান কমাতে পারেননি তিনি। তাদের আরেক তারকা খেলোয়াড় ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ২১তম মিনিটে গোলপোস্টে খুব কাছ থেকে শট নিয়ে বল সাইডবারের বাইরে মারেন।
জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক প্রথম ক্লাসিকো স্মরণীয় করে রাখলেন। টানা চার ক্লাসিকো হারের পর প্রথমবার মাদ্রিদকে হারানোর স্বাদ পেলো বার্সা। ২০২৩ সালের মার্চের পর রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম জয় পেলো তারা।
বার্সার কিপার পেনার কথা না বললেই নয়। হাঁটুর ইনজুরিতে দীর্ঘদিনের জন্য ছিটকে যাওয়া মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনের স্থলাভিষিক্ত হয়ে প্রথমবার অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখালেন। এমবাপ্পেকে দুইবার রুখে দিয়ে প্রশ্ন রাখলেন, আসলেই কি তিনি সেকেন্ড চয়েজ কিপার? গোলপোস্ট নিয়ে দুশ্চিন্তা ভালোভাবে দূর করলেন পেনা।
লা লিগায় ১১ ম্যাচ শেষে রিয়ালের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ছয়ে বাড়ালো বার্সা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের চলতি মৌসুমে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ দিয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করলো তারা। ২৪ পয়েন্টে দুইয়ে মাদ্রিদ ক্লাব।