My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


রদ্রির হাতেই উঠল ব্যালন ডি’অর

লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পরবর্তী যুগে কার হাতে উঠতে যাচ্ছে বর্ষসেরার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর? সেটি নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে চলছিল আলোচনা-গুঞ্জন। অবশেষে সেই প্রশ্নের উত্তর এলো আজ রাতে।

প্যারিসের থিয়েটার দু শাতেলেতে আলো ঝলমলে মঞ্চে হাসলেন রদ্রি। প্রথমবার মতো হাতে তুললেন ব্যক্তিগত মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। তাতেই এক লম্বা সময়ের অপেক্ষার অবসান। ছেলেদের ফুটবল ৬৪ বছর পর কোনো স্প্যানিশের হাতে উঠল ব্যালন ডি’অর। আর ম্যানচেস্টার সিটির ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন ২৮ বছর বয়সী তারকা।

২০০৭ সালে এসি মিলানে খেলার সময় এই পুরস্কার জিতেছিলেন কাকা। এরপরই শুরু মেসি-রোনালদোর রাজত্ব। ২০০৮ থেকে ২০২৩—মোট ১৩টি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন দুজনে। মাঝে সেই সাম্রাজ্যে ভাগ বসাতে পেরেছেন শুধু দুজন—লুকা মদরিচ (২০১৮) ও করিম বেনজেমা (২০২২)। এবার ‘মেসিলদো’ যুগের শেষ হলো। সংক্ষিপ্ত ৩০ জনের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে আগে, সেখানে ছিল না আগের কোনো ব্যালন ডি’অর জয়ী। আর গত ২১ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন মেসি ও রোনালদো।

গত বছর রেকর্ড অষ্টম ব্যালন ডি’অর জেতেন মেসি। রোনালদো সবশেষ এই পুরস্কার জেতেন ২০১৭ সালে। তবে গ্রহের এই দুই মহাতারকা এখন খেলছেন ইউরোপের বাইরে। মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে আর রোনালদো সৌদি আরবের আল নাসরে।

এবারের ব্যালন ডি’অরে রদ্রির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ক্লাবের হয়ে গত মৌসুমে জিতেছেন লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ। তবে দেশের হয়ে জিততে পারেননি কিছুই। ব্যালন ডি’অর জয়ে ফেবারিটের তালিকায় ছিলেন জুড বেলিংহামও। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিজের প্রথম মৌসুমেই জিতেছেন লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ। ইংল্যান্ডকে ইউরোর ফাইনালের তুলতেও রাখেন বড় ভূমিকা। এই তিনজনের বাইরে চতুর্থ হয়েছেন ভিনি-বেলিংহামের সতীর্থ রিয়াল অধিনায়ক দানি কারভাহাল।

রদ্রি গত মৌসুমে সিটির জার্সিতে প্রিমিয়ার লিগ আর স্পেনের হয়ে জিতেছেন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। স্পেন ও সিটির মাঝমাঠের ‘ইঞ্জিন’ ছিলেন তিনি। তবে চোটে পড়ে এ মৌসুম শেষ হয়ে গেছে তাঁর। প্যারিসেও আসেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।