My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


ক্রিকেটারদের মানসিকতা ও ফিটনেস দেখে সন্তুষ্ট নিক লি

করোনাভাইরাসের কারনে দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেটের বাইরে ক্রিকেটাররা। জাতীয় দল ও তার আশপাশের ক্রিকেটারদের অনুশীলন সহ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটাররার ব্যক্তিগত ভাবে কেবল অনুশীল করেছে। এমন অবস্থায় তাদের ফিটনেস লেভেল কেমন হয়, সেটি নিয়ে ছিল সংশয়। সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ইনডোরে প্রায় ৬০ ক্রিকেটারের ফিটনেস পরীক্ষা করার কথা থাকলে সাকিব-অলক কাপালিসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার পরীক্ষা করাননি।

বিপ টেস্টের মাধ্যমে প্রথমদিনের ফিটনেস টেস্ট নিয়েছে বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার। বিপ টেস্টে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ১১ বেশি স্কোর গড়েছে। অবশ্য সোহাগ গাজী এবং মতো বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ফেল করেছেন ফিটনেস টেস্টে। আবার আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিস, এনামুল হক জুনিয়রদের মতো বুড়োরাও ১১ বেশি স্কোর গড়েছেন। সবমিলিয়ে ক্রিকেটারদের মানসিকতা ও ফিটনেস দেখে সন্তুষ্ট বিসিবির প্রধান ফিজিও নিকোলাস লি।

সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দল এবং এইচপি দলের খেলোয়াড়দের মানসিকতা এবং ফিটনেস দেখে আমি খুবই সন্তুষ্ট। করোনাভাইরাসের কারণে যখন লকডাউন শুরু হয় তখন আমরা চেষ্টা করেছি খুজে বের করার কার কাছে কী ধরণের সরঞ্জাম ছিলো, কে কী রকম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার। বিসিবি খেলোয়াড়দের কাছে সরঞ্জাম পাঠিয়েছে ফিটনেস নিয়ে কাজ করবার জন্য। নির্বাচকদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী প্লেয়ার পুলের মধ্যে থাকা সব খেলোয়াড়কে আমরা ব্যক্তিগত পরিকল্পনা দিয়েছিলাম যা তারা বাসায় মেনে চলতে পেরেছে। পাচ-ছয় মাস পর ট্রেনিং আয়োজনের সময় তাদের দেখে আমি খুব খুশি ছিলাম। জাতীয় দল এবং এইচপির খেলোয়াড়রা বর্তমানে যে অবস্থায় আছেন সেটি নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমার যেটি ভালো লেগেছে সেটি হলো, করোনাভাইরাসের কারণে তারা ক্রিকেট খেলতে না পারলেও ফিটনেসের দিক দিয়ে তার বিন্দুমাত্র পিছিয়ে নেই।’

শারীরিক ফিটনেস ও ক্রিকেটের ফিটনেসের মধ্যকার পার্থক্য উল্লেখ্য করে নিক লি বলেছেন, ‘শারীরিক ফিটনেস এবং ক্রিকেট ফিটনেসের মধ্যে পার্থক্য আছে। আমরা এখন আছি নিজের শারীরিক কাজ করা এবং একই সাথে ম্যাচ ফিট হওয়ার প্রক্রিয়াটির মধ্যে। এজন্য প্রেসিডেন্টস কাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কারণ এর মধ্যে দিয়ে ক্রিকেটাররা প্রতিযোগিতামূলক খেলার অভ্যাসে ফিরে এসেছে। সামনের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা সম্পর্কে ধারনা নিতে পারব।’ জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের এই ফিজিও, ‘আজ জাতীয় নির্বাচকরা দেখতে চেয়েছিলো প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারদের অবস্থা কেমন সেটি। এই মুহুর্তে তাদেরকে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমার মনে হয় নির্বাচক এবং বাকি সবাই জানে সবার জন্যই কতটা কঠিন বছর ছিল এটি। করোনাভাইরাসের জন্য ক্রিকেটে এবং খেলোয়াড়দের শারীরিক অনুশীলন করায় অনেক বাধা এসেছে। এখন পর্যন্ত আমি যা দেখেছি, বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ভালো করেছেন। অল্প কয়েকজন সমস্যায় পড়েছে।’