My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


রাজশাহীর বিপক্ষে ফাইনালে মনে করেই খেলবে বরিশাল

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সবচেয়ে বাজে অবস্থানে রয়েছে ফরচুন বরিশাল। ৫ ম্যাচের একটিতে জিতে তাদের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে। কুড়ি ওভারের এই টুর্নামেন্টে জেতে বরিশালের জন্য বাকি ম্যাচগুলো তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বরিশাল অবশ্য প্রতিটি ম্যাচকেই ফাইনাল হিসেবে দেখছে। মঙ্গলবার নিজেদের ৬ষ্ঠ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ রাজশাহী। দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা আবু জায়েদ রাহী আগামীকালকের ম্যাচটিতে ফাইনাল হিসেবেই দেখছেন।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম অনুশীলন করেছে বরিশাল। অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমকে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানান বরিশালের পেসার আবু জায়েদ রাহী, ‘আমাদের জন্য কালকের (মঙ্গলবার) ম্যাচটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে মনে হয় এই টুর্নামেন্টে এমন একটা দল যারা কিনা প্লে-অফে যাবে দুইটা বা তিনটা ম্যাচ জিতে। আমাদের এখন সেই সুযোগটা নিতে হবে। কালকের ম্যাচটিতে ফাইনাল ধরে আমরা নতুন করে টুর্নামেন্ট শুরু করবো।’

টানা খেলার কারনে উইকেট অনেকটাই স্লো হয়ে উঠেছে। ফলে গতিময় বোলিংয়ের চেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়েই সাফল্য পাচ্ছেন পেসাররা। মুক্তার আলী, কামরুল হাসান রাব্বিদের স্লোয়ার ডেলিভারিগুলো নিয়মিতই সাফল্য পাইয়ে দিচ্ছে। সোমবার বরিশালের অনুশীলনেও পেস বোলারদের স্লোয়ার অনুশীলন করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে রাহী জানিয়েছেন, ‘বেশিরভাগ উইকেটগুলো হচ্ছে স্লোয়ার বলে। এমন না যে জোরে বল করে উইকেট নিচ্ছে কেউ। এরকম খুব কমই হচ্ছে। বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান আউট হচ্ছে স্লোয়ার ও ভেরিয়েশনে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।’

ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারছেনা বলে কি বোলাররা সুযোগ তৈরি করতে পারছেন? রাহীর উত্তর, ‘আমার সেটি মনে হচ্ছে না। বরং আমরাই ব্যাটসম্যানদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারছি না। অন্যান্য দলের মত ৮০ বা ১২০ এর ভেতর কোন দলকে অলআউট করতে পারতাম, তাহলে ব্যাটসম্যানরা ছন্দে ফিরতো, দলও জিততো। আমরা বোলিং ইউনিটেও আহামরি ভালো করতে পারতেছি না। ১৬০-৭০ হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আমরা যদি এটা ১৪০ বা তার নিচে রাখতে পারতাম, তাহলে ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক হতো।’দলের আরেত সিনিয়র পেসার কামরুল হাসান রাব্বি দূর্দান্ত বোলিং করছেন। জাতীয় দলের এই পেসারের বোলিংয়ে মুগ্ধ রাহী জানালেন, ‘অবশ্যই রাব্বি ভাই ভালো করছে। এ জন্য আমি আজকে রাব্বি ভাইয়ের সাথে কথা বলছি, কেউ কোন টুর্নামেন্টে ভালো করলে তার সঙ্গে কথা বলে ভালো ফল পাওয়া যায়।’