My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


দক্ষিন আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করল ইংল্যান্ড

দ্বিতীয় ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই লুঙ্গি এনগিদির করা আবেদনে ডেভিড মালানকে আউট দিয়ে বসেন আম্পায়ার। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। এরপর আর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের উপর রীতিমতো তাণ্ডবলীলা চালান তিনি।

মালানের ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৯ রানের অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে প্রোটিয়াদের টানা তিন ম্যাচে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিল ইংল্যান্ড। এর আগে জয়ের জন্য ১৯২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই জেসন রয়কে হারিয়ে বসে ইয়ন মরগানের দল। তবে শুরুর ধাক্কা দলকে বুঝতে দেননি আরেক ওপেনার জস বাটলার এবং মালান।

তাদের দুজনের দুর্দান্ত দুই ইনিংসের পর ১৪ বল হাতে থাকতেই ১৯২ রানের লক্ষ্য সহজেই টপকে যায় তারা। এদিন ৪৬ বলে ৬৭ রান করে অন্যপ্রান্তে অপরাজিত ছিলেন বাটলার। টানা তিন ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার গেছে টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা মালানের হাতে।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব বেশি ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সদ্য সমাপ্ত আসরে আফ্রিকান বোলার এবং ব্যাটসম্যানরা যতটা দাপট দেখিয়েছেন ঠিক ততই নিষ্প্রভ ইংল্যান্ড সিরিজে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে কয়েকদিন আগেই সাড়ে চারশোর অধিক রান করা কুইন্টন ডি কককেও দেখা যায়নি নিজের চেনারূপে। এদিন মাত্র ১৭ রান করে ফিরে গেছেন তিনি।

ডি ককের বিদায়ের পর টেম্বা বাভুমা এবং রেজা হেনড্রিকস ভালো শুরু করলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বাভুমা ফিরে গেছেন ৩২ করে আর হেনড্রিকস করেছেন মাত্র ১৩ রান। তবে পরের দিকে ফাফ ডু প্লেসির ৩৭ বলে ৫২ এবং রাসি ভান ডার ডুসেনের ে৩২ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের উপর করে নির্ধারিত ২৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯১ রান তোলে প্রোটিয়ারা।

ম্যাচটি উত্তেপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা করা হলেও সেই আবহটা তৈরি করতে পারেননি আইপিএলে দাপট দেখিয়ে আসা অ্যানরিক নরকিয়ারা। তাতে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জায় পড়তে হলো তাদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯১/৩ (ওভার ২০);(ভান ডার ডাসেন ৭৪*, ডু প্লেসি ৫২*, বাভুমা ৩২, স্টোকস ২/২৬)
ইংল্যান্ড: ১৯২/১ (ওভার ১৭.৪); (মালান ৯৯*, বাটলার ৬৭*, নরকিয়া ১/৩৭)