আইসিসির দেয়া নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার প্রহর গুনছেন সাকিব আল হাসান। যদিও এর মাঝে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। তবে এবারের ফেরাটা একটু অন্যরকম, যে কারণে এ নিয়ে একটু বেশিই রোমাঞ্চিত তিনি। কারণ নিষেধাজ্ঞার পর এবারই প্রথম জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামবেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
ঘরোয়া ক্রিকেট খুব বেশি সুবিধা করতে না পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নিজের সেরাটা দিতে মুখিয়ে তিনি। বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অবশ্য এমন কিছুরই ইঙ্গিত মিলেছে। সেখানে জানিয়েছে, তিনি ‘লাস্ট’ হওয়ার জন্য খেলবেন না।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘মানুষের প্রত্যাশা, নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা... সবকিছু মিলিয়েই বলতে পারেন। আমি যখন খেলতে নামব, স্বাভাবিকভাবেই তো ‘লাস্ট’ হওয়ার জন্য খেলতে নামব না। একটা ছাত্র স্কুলে যতই কম যাক, কম পড়ুক; ও তো ফার্স্ট হওয়ার জন্যই পরীক্ষা দেয়।’
দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কারণে নতুন করে সব পরিকল্পনা সাজাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়ে ব্যাগ গোছানোর মুহূর্তটা সবার কাছেই একটু অন্য রকম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজকে সামনে রেখে হোটেলে ওঠার আগে ব্যাগ গোছাতে গিয়ে একই অনুভূতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সাকিবের ভাষ্য, ‘আজ (গতকাল) সারা দিন ব্যাগ, খেলার জিনিসপত্র গোছালাম। কাল (আজ) হোটেলে উঠে যাব। এমনিতে তো সব গোছানোই থাকত। খেলা এলে ছোটখাটো কিছু জিনিস এদিক-সেদিক করা লাগত। কিন্তু এবার মনে হলো সেই প্রথমবার ব্যাগ গোছানোর মতো অবস্থা। নতুন করে সব পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে ক্রিকেট ফিরলেও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি সাকিব। জেমকন খুলনার হয়ে ব্যাট হাতে ৯ ম্যাচে ১২.২২ গড়ে করেছিলেন ১১০ রান। যেখানে তাঁর সর্বোচ্চ ছিল ২৮। আর বল হাতে সমানসংখ্যক ম্যাচে ৬.০০ ইকোনোমিতে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। তবে সেটি নিয়ে আপাতত ভাবছেন না তিনি। বরং সেটাকে কেবলই মাঠে ফেরার প্রক্রিয়া ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘ওই টুর্নামেন্টের কিছুই আমার মনে নেই। ওখানে ভালো খেললেও আমার কিছু আসত-যেত বলে মনে হয় না। ভালো খেলিনি, সেটাতেও কিছু হবে না। টুর্নামেন্টটা আমি খেলেছি কারণ, আমার মাঠে নেমে খেলার অভ্যাসটা ফিরিয়ে আনার দরকার ছিল। এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি আর কিছু ভাবিনি।’